ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফেরিওয়ালা থেকে ৩০০ কোটির মালিক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
ফেরিওয়ালা থেকে ৩০০ কোটির মালিক!

৩১ কোটি রুপি আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভারতের কানপুরের সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনকে। তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে চমকে গেছেন প্রতিবেশীরা।

বরাবরই সাধারণ জীবন যাপন করতেন এই ব্যবসায়ী। আর তার সম্পত্তি গুণছেন তদন্তকারীরা!

১২০ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে এই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩০০ কোটি রুপি, দুবাই ও দেশের সম্পত্তির নথি এবং রাশি রাশি সোনা। পীযূষের বাড়িতে রাখা এত সোনা দেখে চোখ কপালে প্রতিবেশীদের। তাদের ভাষ্য, বাইরে থেকে দেখে বোঝাই যায়নি পীযূষকে।

প্রতিবেশীদের একজন বলেন, পীযূষকে বরাবরই স্কুটার কিংবা হেঁটে যাতায়াত করতে দেখেছি। উৎসব, অনুষ্ঠানে একদম সাদাসিধে পোশাকেই দেখা যেতো। অন্যের ব্যাপারেও কোনোদিন নাক গলাতে দেখিনি।

জানা গেছে, পীযূষের দাদার ছিল কাপড় ছাপার ব্যবসা। পীযূষ ও তার ভাই অম্বরীশ, দু’জনেই কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর করেছেন।

পীযূষ প্রথম জীবনে মুম্বাইয়ে ফেরিওয়ালার কাজ করতেন। রসায়নে দক্ষতা থাকায় সাবান, কাপড় কাচার গুঁড়ো সাবানের উপাদানও তৈরি করতে শুরু করেন। কয়েক বছরের মধ্যে পারিবারিক ব্যবসার ভার এসে পড়ে তার কাঁধে। একইসঙ্গে চলতে থাকে অন্য ব্যবসাও। সেখান থেকেই শুরু হয় গুটখার উপাদান তৈরি। কিছুদিনের মধ্যে খোলেন সুগন্ধির ব্যবসা। ব্যবসার পরিধি বাড়ে। কনৌজ থেকে কানপুরে চলে আসেন পীযূষ।

পীযূষের তিন সন্তান। বড় মেয়ের নাম নীলাংশা। পেশায় পাইলট নীলাংশার বিয়ে হয়েছে। তল্লাশির সময় কানপুরের বাড়িতে ছিলেন প্রত্যুষ ও প্রিয়াংশ—পীযূষের অপর দুই সন্তান। পীযূষের বাবা মহেশচন্দ্র জৈন চিকিৎসার জন্য তখন দিল্লিতে।

এদিকে পীযূষের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক। সমাজবাদী পার্টির অভিযোগ, বিজেপির প্রশ্রয়েই পীযূষদের মতো ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি এত বেড়েছে।

আবার তাদের এই অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা অখিলেশ যাদবের পার্টির দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।