হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া একটি গাছের পাতায় ফাইটোকেমিক্যাল (গাছ থেকে আসা রাসায়নিক পদার্থ) শনাক্ত করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির (আইসিজিইবি) গবেষকরা।
বলা হচ্ছে, এই ফাইটোকেমিক্যাল দিয়েই হতে পারে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা।
গবেষণায় দেখা গেছে, হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া ওই গাছে রডোডেনড্রন আর্বোরিয়াম ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন অ্যান্টিভাইরাল উপাদান পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ‘বায়োমলিকুলার স্ট্রাকচার অ্যান্ড ডায়নামিক্স’ জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। যখন এই গাছের পাতা গরম পানিতে মেশানো হয়, তখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কুইনিক অ্যাসিড এবং এর ডেরিভেটিভ পাওয়া গিয়েছিল। গতিবিদ্যার গবেষণা থেকে জানা যায়, এই ফাইটোকেমিক্যাল দুটি উপায়ে ভাইরাসকে প্রভাবিত করে।
গবেষকদের মতে, কোনো বিরূপ প্রভাব ছাড়াই ওই পাতার নির্যাসের একটি উপাদান মানবদেহের কোষে করোনা সংক্রমণকে বাধা দিতে পারে। স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে হিমালয় অঞ্চলে রডোডেনড্রন গাছের পাতা স্থানীয় লোকেরা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করে।
আইআইটি মান্ডির স্কুল অব বেসিক সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক শ্যাম কুমার মাসকাপল্লী বলেন, যখন করোনা টিকা মানবদেহকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি দিচ্ছে, তখন সারাবিশ্বে ভ্যাকসিন বহির্ভূত ওষুধও আবিষ্কৃত হচ্ছে। এই ওষুধগুলো রাসায়নিক রূপে ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের কোষে উপস্থিত রিসেপ্টরগুলোর সঙ্গে আবদ্ধ হয় এবং ভাইরাসের প্রবেশে বাধা দেয় বা নিজেই ভাইরাসের ওপর কাজ করে।
অধ্যাপক শ্যাম কুমার মাসকাপল্লী আরও বলেন, এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের থেরাপিউটিক এজেন্ট নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এসব গবেষণায় ফাইটোকেমিক্যাল অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। এটি প্রাকৃতিক এবং কম বিষাক্ত। আমরা হিমালয়ের এই গাছ থেকে প্রয়োজনীয় অণুর সন্ধান করছি। এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা আরও গবেষণা করার পরিকল্পনা করছেন।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এনএসআর