ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের মধ্যে চলমান সংকটের মধ্যেই চীন সফরে গেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শীতকালীন অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চীন সফরের আমন্ত্রণ অনেক আগেই পেয়েছিলেন পুতিন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন পরিস্থিতিতে ভ্লাদিমির পুতিনের এই চীন সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। অলিম্পিকসের উদ্বোধনের চেয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ও পুতিনের বৈঠকে কী কথা হবে, সেদিকেই বিশ্বের বেশি নজর থাকবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ওই বৈঠকে বিশ্বের দুই মোড়ল দেশের প্রধানের কথাবার্তায় যে ইউক্রেন ইস্যু প্রধান্য পাবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট গত দুই দিনে চীনের বিভিন্ন মিডিয়ায় যেসব সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, এতে পরিষ্কার ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক’ পরিস্থিতি নিয়ে তাদের আলোচনা হবে।
ব্যবসা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ছাড়াও গত এক দশকে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক যে মাত্রায় বেড়েছে, এতে দুই পক্ষের কথা বলার বিষয়ের কোনো অভাব নেই বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
ইউক্রেন সংকটের মধ্যেই বুধবার পেন্টাগন ঘোষণা দিয়েছে, ইউরোপে আরও ২ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া আরও ১ হাজার জার্মান সৈন্য যাচ্ছে রোমানিয়ায়। ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের ‘প্রতিরক্ষা’ নিশ্চিত করতেই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেন দখল করতেই সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেনে আক্রমণ করলে শুধু রাশিয়ার ওপর নয়, দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেবে মার্কিন প্রশাসন।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে একমাত্র চীনই সম্ভাব্য মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
জেএইচটি