সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ইউক্রেন ছেড়ে দিতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন ও নিউজিল্যান্ডসহ অনেক দেশ। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে এবার ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই নির্দেশনা দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানায় আল-জাজিরা।
এর আগে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, কিয়েভ সরকার বা তৃতীয় দেশগুলোর সম্ভাব্য উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ান বিদেশি মিশনের কর্মীদের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো তাদের মৌলিক দায়িত্ব পালন করে যাবে।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও তাদের নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। একই সঙ্গে ব্রিটেন, জাপান, লাটভিয়া ও নরওয়ে তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার জন্য বলেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা দূতাবাসের কর্মী ও স্বজনদের দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশ একই উদ্যোগ নিয়েছে।
ইউক্রেনে সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ফোনালাপে অভিযোগ তুলেছেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়াচ্ছে ওয়াশিংটন।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যেকোনো দিন’ ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে—যুক্তরাষ্ট্র এমন শঙ্কার কথা জানানোর পর দেশটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এএফপির বরাত দিয়ে কিয়েভ পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, এই মুহূর্তে আতঙ্কিত না হয়ে দেশের ভেতরে সবাইকে শান্ত থাকতে হবে। আতঙ্ক না ছড়ানোই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঘোষণার পর ইউক্রেনের অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে বলেও জানায় কিয়েভ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
জেএইচটি