ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

চাপ-হুমকির মুখে ন্যাটোকে ‘না’ বলতে যাচ্ছে ইউক্রেন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
চাপ-হুমকির মুখে ন্যাটোকে ‘না’ বলতে যাচ্ছে ইউক্রেন! ব্রিটেনে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিসটাইকো

সীমান্তে সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েনের পর রাশিয়া ‘যেকোনো দিন’ ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই আশঙ্কার দুই দিনের মাথায় ব্রিটেনে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিসটাইকো বলেছেন, যুদ্ধ এড়াতে ন্যাটো সামরিক জোটে যাওয়ার প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে পারে ইউক্রেন।

  

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।  

ইউক্রেন যেন ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ না দেয়, সে বিষয়ে শুরু থেকেই বলে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  

ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়া থেকে কিয়েভ সরে আসবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিসটাইকো বলেন, যুদ্ধ এড়াতে আটলান্টিক সামরিক জোটে যোগ দেওয়া থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক ইউক্রেন। কেননা এ বিষয়ে তাদের নিয়মিতভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং হুমকি আসছে।  

কার্টুন: কিয়েভ পোস্ট

এখন ন্যাটো জোটের সদস্য নয় ইউক্রেন। তবে দেশটি ২০০৮ সাল থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে যে, তারা ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেবে। দেশটি ন্যাটো সদস্য হলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটকে রাশিয়ার সীমান্তে নিয়ে আসবে।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, জোটের সঙ্গে ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ন্যাটো ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যে পড়ে যেতে পারে রাশিয়া। তাই যেকোনো উপায়ে মস্কো এটি প্রতিরোধ করবে।  
 
সম্প্রতি ইউক্রেনে সীমান্তের কাছে ১ লাখের বেশি সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বলে আসছে, হামলা চালিয়ে ইউক্রেন দখলে নিতে পারে মস্কো। তবে ক্রেমলিন বারবার এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তারা এটাকে সামরিক মহড়া হিসেবে উল্লেখ করছে।  

হোয়াইট হাউস বলছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রোববার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চলমান সংকট সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে তিনি সম্মত হয়েছেন।  
 
রোববার অস্ট্রেলিয়া জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। তাই কিয়েভে তাদের দূতাবাস খালি করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়ানদের ইউক্রেন ছাড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তার আগের দিন মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন।  

শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, কিয়েভ সরকার বা তৃতীয় দেশগুলোর সম্ভাব্য উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ান বিদেশি মিশনের কর্মীদের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো তাদের মৌলিক দায়িত্ব পালন করে যাবে।  

নিউজিল্যান্ডও তাদের নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। একই সঙ্গে ব্রিটেন, জাপান, লাটভিয়া ও নরওয়ে তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার জন্য বলেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা দূতাবাসের কর্মী ও স্বজনদের দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশ একই উদ্যোগ নিয়েছে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।