ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনীর আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৩৩ জন শিশু রয়েছে। তবে হতাহতদের মধ্যে সামরিক ও বেসামরিক উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কি না, তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি।
ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো বলেন, উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। তাদের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয় বৃহস্পতিবার। এতে ১৯৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ১১৫ জন আহত হন।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা বলছে, প্রতিবেশী দেশে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দা পাশের দেশগুলোতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে।
শনিবার তৃতীয় দিনের মতো ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। তারা শুক্রবারই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে প্রবেশ করেছে। রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেনের সেনারা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ। একই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক ডেপুটি হাইকমিশনার কেলি ক্লেমেন্টস সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
কেলি ক্লেমেন্টস বলেন, ইউক্রেনের ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা পাশের দেশে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যে অভ্যর্থনা পাচ্ছে, তা অসাধারণ। কিন্তু সামনের দিনগুলোর কথা চিন্তা করে আমরা সত্যিই শঙ্কিত।
জানা গেছে, ইউক্রেনের বেশিরভাগ বাসিন্দা শরণার্থী হয়ে পাশের দেশ পোল্যান্ড, মলদোভা, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরিতে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
জেএইচটি