ইউক্রেনে দুই সপ্তাহ ধরে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা। তবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।
যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। লাখ লাখ মানুষ দেশটি ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
চলমান যুদ্ধের মধ্যেই বুধবার (৯ মার্চ) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা দাবি করেন, ইউক্রেনে ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করতে রুশ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না। ইউক্রেন দখলেরও কোনো ইচ্ছা রাশিয়ার নেই।
যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একাধিকবার বলে আসছেন যে, রুশ আগ্রাসনের প্রধান লক্ষ্য তিনি। তাকে সরাতেই ভ্লাদিমির পুতিন এমন অভিযান পরিচালনা করছেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনেতস্ক ও লুহানস্ককে রক্ষা করতে এবং সামরিক হুমকি ঠেকাতেই এই অভিযান চলছে বলে জানান মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণ নয়। কিন্তু পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মিডিয়ায় ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে ‘ভুয়া গল্প’ তৈরি করছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এই অভিযানে ইউক্রেনের বহু মানুষ হতাহত ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে প্রাণে বাঁচতে অন্তত ২০ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। রুশ হামলা থেকে বাঁচতে এখনো ব্যাপক যুদ্ধ চলছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনের শহরগুলোর ওপর হামলা চালাচ্ছে না। সেখানকার সামরিক অবকাঠামোগুলো নির্ভুল অস্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য কোনো হুমকি নেই।
সূত্র: তাস
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
জেএইচটি