ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে আরও ‘ভয়ংকর অস্ত্র’ ব্যবহার করছে রাশিয়া 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২২
ইউক্রেনে আরও ‘ভয়ংকর অস্ত্র’ ব্যবহার করছে রাশিয়া 

রুশ হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো ইউক্রেন। এই যুদ্ধে গোলাবর্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনারা।

তবে এতদিন এসব অস্ত্রের বিষয়ে দেশটি কোনো মন্তব্য করেনি।  

এবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাল, শুক্রবার (১৮ মার্চ) ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো নতুন কিনঝাল ‘হাইপারসনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পশ্চিমে একটি অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করতে এই ‘ভয়ংকর’ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।  

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই যুদ্ধে উচ্চ-নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করার আগে কখনো বিষয়টি স্বীকার করেনি মস্কো। কিন্তু এবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে কিনঝাল হাইপারসনিক অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার হয়েছে।  

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক অঞ্চলের দেলিয়াতিন গ্রামে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানের গোলাবারুদ ভরা একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ গুদাম ধ্বংস হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র একটি দূরপাল্লার অস্ত্র। এর গতি শব্দের চেয়ে অন্তত ৫ গুণ বেশি। এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি সময় ধরে শনাক্তকরণ রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে। চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো অল্প কয়েকটি দেশের কাছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ২৪ দিনের মতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশটি ছেড়ে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

আলোচনায় বসার আহ্বান জেলেনস্কির
চলমান যুদ্ধ নিয়ে সরাসরি আলোচনায় বসার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  

শনিবার (১৯ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় ভলোদিমির জেলনস্কি এই আহ্বান জানান। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি চাই সবাই এখন আমার কথা শুনুক, বিশেষ করে মস্কো। একটি সভার সময় এসেছে, এখন কথা বলার সময় এসেছে’।  

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে ইউক্রেনের জন্য আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনার। অন্যথায়, রাশিয়ার ক্ষতি এতটাই হবে যে, এটি পুনরুদ্ধার করতে কয়েক প্রজন্ম সময় লাগবে’।

রুশ বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোতে ‘মানবিক সরবরাহ’ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জেলেনস্কি। এ ঘটনাকে তিনি ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।