বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১৬ টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত তিন দিন ধরে চীনের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঙ্কিপক্স। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে দুজন সন্দেহভাজন রোগী পাওয়ার খবর ৫ কোটি ১০ লাখ বার দেখা হয়েছে। তবে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করে কিছু বলা হয়নি।
মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ‘নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভ’ জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক প্রস্তুতির পরিকল্পনা নিয়ে চলতি বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে মাঙ্কিপক্স মহামারির কথা বলা হয়েছিল। চীনের প্রভাবশালী জাতীয়তাবাদী ব্যক্তিত্ব শু চ্যাং ওয়েইবোতে এই প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে বলেছেন, জৈব প্রকৌশলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ছড়িয়েছে।
শু চ্যাংয়ের ওয়েইবোতে প্রায় ৬০ লাখ ৪১ হাজার অনুসারী রয়েছে। তার করা পোস্টটিতে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ লাইক দিয়েছে এবং ৬৬০টি কমেন্ট করা হয়েছে। অনেকেই তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। একজন লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কল্পনার বাইরে গিয়ে অনৈতিক কাজ করছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, মাঙ্কিপক্স নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিষয়ক পোস্টগুলোতে লাখ লাখ লাইক দেওয়া হচ্ছে। যদিও চীনে এ পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির জন্য চীনকে দায়ী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটি অস্বীকার করেছিল চীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ২৩ মে, ২০২২
ইআর