ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যতদিন সময় লাগে ইউক্রেনের সঙ্গে থাকবে জি-৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
যতদিন সময় লাগে ইউক্রেনের সঙ্গে থাকবে জি-৭

রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর এবার  ‘যতদিন সময় লাগে’ দেশটির সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জি-৭।

রোববার (২৬ জুন) জার্মানির মিউনিখে শুরু হয়েছে সংগঠনটির শীর্ষ সম্মেলন।

এতে যোগ দিয়েছেন জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা। এবারের আয়োজক জোটের অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র জার্মানি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (২৭ জুন) মিউনিখে এক বৈঠকে ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন জোট নেতারা। পরে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়।

খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশটির বন্দর থেকে খাদ্যপণ্য রফতানি বন্ধ করে দেয়। জি-৭ নেতারা রাশিয়াকে এ অবস্থা থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, রাশিয়াকে অবশ্যই ইউক্রেনের বন্দরের খাদ্যপণ্য রফতানিতে দেওয়া অবরোধ বন্ধ করতে হবে।

বিবিসি জানায়, জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় তিনি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও ভারী অস্ত্রের আবেদন করেন।

ক্রমবর্ধমান রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জোট নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হতেও আহ্বান জানান জেলেনস্কি।

এ সময় জোট নেতারা ইউক্রেনে আর্থিক, মানবিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করেন। তারা বলেন, যতক্ষণ সময় দরকার জি-৭ ইউক্রেনের সঙ্গে থাকবে।

জোট নেতারা আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া ও বেলারুশের নৃশংস, অকারণ, অযৌক্তিক ও বেআইনি আগ্রাসনের ঘটনায় আতঙ্কিত। এসব ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।

এর আগে এক বৈঠকে রুশ সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন জি-৭ নেতারা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউরোপের এ দেশটির পর নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদারের কথা জানান যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডার নেতারা।

এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বিবৃতিতে বলেন, জি-৭ সম্মেলনে আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি, তা সরাসরি রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করতে ব্রিটেন ও তার মিত্রশক্তিরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৮ জুন) জি-৭’র পক্ষ থেকে রাশিয়ার সোনা আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে বলে জানান মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। সোনা রপ্তানি করে রাশিয়া ব্যাপক লাভবান হয়। ব্যাপক পরিমাণে রাজস্ব জমা হয়।   ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, গত বছর রাশিয়া ১৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সোনা রফতানি করেছিল।

জি-৭ সম্মেলনে রাশিয়ার তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পরেই রাশিয়া অপরিশোধিত তেলের দাম কমিয়ে দেয়। বিশ্ব বাজারে যখন হু হু করে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে, রাশিয়া তখন অনেক কম মূল্যে তেল বিক্রি করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার ফলেও অনেক দেশ রাশিয়ার থেকে তেল কিনতে আগ্রহী হয়েছে।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জি-৭ সম্মেলনে এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছরেই খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। আগামী বছরে তা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

এবারের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, চীন, ন্যাটো নিয়েও আলোচনা করবেন জোট নেতারা।

সূত্র: বিবিসি

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ২৮ জুন, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।