লিবিয়ার মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন ট্রাক ড্রাইভার গত মঙ্গলবার মৃতদেহগুলো দেখতে পান এবং পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের এই ঘটনাস্থলটি কুফরা থেকে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও শাদের সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
কুফরা অ্যাম্বুলেন্সের প্রধান ইব্রাহিম বেলহাসান বুধবার ফোনে জানান, চালক হারিয়ে গিয়েছিলেন। ধারণা করছি, গত ১৩ জুন মোবাইল ফোনে শেষ কলের পর অর্থাৎ প্রায় ১৪ দিন আগে দলটি মরুভূমিতে মারা গেছে।
লিবিয়ার কম জনবহুল এই অঞ্চলে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা নিয়মিতই ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওতে একটি পিকআপ ট্রাকের কাছে মরুভূমিতে পচনশীল মৃতদেহগুলো দেখা যাচ্ছে।
২০১১ সালে সামরিক জোট ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর থেকে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা হয়। আর এরপর থেকেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশ থেকে যুদ্ধ এবং দারিদ্র্যের কারণে পালিয়ে আসা লোকদের অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে লিবিয়াকে। উন্নত জীবনের আশায় মরুভূমি এবং ভূমধ্যসাগর জুড়ে বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে অভিবাসীরা। কিন্তু সাহারা মরুভূমিসহ বিপজ্জনক এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকেই মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ৩০ জুন, ২০২২
ইআর