গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন হ্রাস করতে কিছু ক্ষমতা হারিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের এ ঐতিহাসিক রুলের কারণে প্রেসিডেন্ট নিজেও কিছুটা ক্ষমতা হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষমতা হারিয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট একটি রুল জারি করেছেন। এর খড়্গ পড়েছে বাইডেনের প্রশাসনেও।
জো বাইডেনের জলবায়ু পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এ রুলকে বড় আঘাত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের জারি করা রুল ‘বিপর্যয়কর সিদ্ধান্ত’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জো বাইডেন বলেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তার উদ্যোগে কোনো আঁচড় পড়বে না।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো অঙ্গরাজ্যে নির্গমন কমানোর এখতিয়ার ইপিএ’র নেই উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছিল ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া। রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্য ও বৃহত্তম মার্কিন কয়লা কোম্পানির হয়ে মামলাটি দায়ের হয়। সেটির ব্যাপারেই এ রুল দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে শঙ্কায় থাকা ১৯টি অঙ্গরাজ্যের কর্তাব্যক্তিরা মনে করছিলেন, তাদের কয়লা ব্যবহার বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে। এটি হলে ব্যাপক আর্থিক ব্যয়ের সম্ভাবনা ছিল।
রুলের আগে বিচারক প্যানেলের মধ্যে ৬ জন রক্ষণশীল ও জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির পক্ষে রায় দেন। বিপক্ষে মত দেন তিন বিচারক। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় রায় রক্ষণশীল ও জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির পক্ষে যায়।
সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য ভবিষ্যতে এমন বিধিনিষেধ জারি থেকে ইপিএকে বাধা দেয়নি। কিন্তু এ বিষয়ে কংগ্রেসকে স্পষ্টভাবে ক্ষমতা দেওয়ার কথা বলেছেন।
এর আগে ইপিএ’র কার্বন নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছিল কংগ্রেস।
মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্মিট এই রায়কে ‘বড় জয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, ০১, ২০২২
এমজে