ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

অপহরণের পর জোর করে মানুষের মাংস খাওয়ানো হয় তরুণীকে! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২২
অপহরণের পর জোর করে মানুষের মাংস খাওয়ানো হয় তরুণীকে!  কঙ্গোর সেনাবাহিনী

এক তরুণীকে দুবার অপহরণ করে তাকে আটকে রেখে বারবার ধর্ষণ করেন অপহরণকারীরা। শুধু তাই নয়, জোর করে মানুষের মাংস রান্না এবং তা খেতে বাধ্য করা হয়।

 
ঘটনাটি ঘটেছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে।  কঙ্গোর স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এই তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

কঙ্গোর নারী অধিকারবিষয়ক সংস্থা ফিমেল সোলিডারিটি ফর ইন্টিগ্রেটেড পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এসওএফইপিএডিআই) প্রধান জুলিয়েন লুসেঞ্জ যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলের এক নারীর ভয়াব্হ এই অভিজ্ঞতার কথা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তুলে ধরেছেন।

জুলিয়েন লুসেঞ্জ বলেছেন, পরিবারের অপহৃত এক সদস্যের মুক্তিপণ দিতে গিয়ে কোডেকো মিলিশিয়াদের হাতে বন্দি হন ওই তরুণী। দেশটির মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে তিনি জানিয়েছেন, তাকে বারবার ধর্ষণ ও শারীরিকভাবে নিপীড়ন করা হয়েছে। মিলিশিয়ারা এক ব্যক্তির গলাও কেটে ফেলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওই তরুণীর বরাত দিয়ে লুসেঞ্জ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, ওই ব্যক্তির গলা কাটার পর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হয় এবং সেগুলো ওই তরুণীকে রান্নার নির্দেশ দেন। বাকি খাবার প্রস্তুত করার জন্য তারা দুটি পানির পাত্র আনেন। এরপর তারা সব বন্দিকে মানুষের মাংস খেতে বাধ্য করেন।

 লুসেঞ্জ বলেন, কিছুদিন পর ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বাড়িতে ফেরার চেষ্টার সময় অপর একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী তাকে অপহরণ করে। এবার এই গোষ্ঠীর সদস্যরাও তাকে আটকে রেখে  ধর্ষণ করেন।

ওই নারী এসওএফইপিএডিআইকে বলেছেন, সেখানে আবারও আমাকে মানুষের মাংস রান্না করে খেতে বলা হয়েছিল।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে কঙ্গোর ভয়াবহ এই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরলেও লুসেঞ্জ দ্বিতীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীটির নাম প্রকাশ করেননি। এই বিষয়ে কোডেকো গোষ্ঠীর মন্তব্যও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

কঙ্গোতে যে কয়েকটি সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী রয়েছে, তার একটি হচ্ছে কোডেকো। কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড ও সম্পদের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে মিলিশিয়ারা। এই সংঘাতে গত এক দশকে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

কঙ্গোতে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কঙ্গোতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স 

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ২ জুলাই, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।