গ্যাস আমদানির আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পাকিস্তানের জ্বালানি সংকট আরো কয়েক মাস ধরে অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।
ওয়াকিফহাল ব্যবসায়ীদের মতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাকিস্তান এলএনজি বিলিয়ন একশ কোটি ডলারের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার দরপত্রে একটিও প্রস্তাব পায়নি যাকে অস্বাভাবিক মনে করা হচ্ছে।
প্রায় এক মাসে এ নিয়ে চতুর্থবার পাকিস্তান এলএনজি ক্রয়ের দরপত্র এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হলো৷ জ্বালানি ঘাটতির কারণে দেশটি ইতিমধ্যেই ঘন ঘন বিদ্যুৎহীনতার শিকার হচ্ছে।
তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশটি জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ২০% ছাড়িয়ে গেছে। সরকার একটি আর্থিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজ নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে গত কয়েক সপ্তাহে ইতিমধ্যেই এশীয় গ্যাসের দাম আরো বাড়তে শুরু করেছে।
বৈশ্বিক এলএনজি প্রবাহকে জ্বালানি সংকটে পড়া ইউরোপে চলে যাচ্ছে। কারণ সেখানকার পরিষেবা কম্পানিগুলো উদীয়মান অর্থনীতির দেশের চেয়ে বেশি দাম দিতে ইচ্ছুক। থাইল্যান্ড এবং ভারতও উচ্চমূল্যের কারণে ক্রয়ে রাশ টেনেছে। তবে তারা পাকিস্তানের মতো এত বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে নেই।
বিশ্বের পঞ্চম-জনবহুল দেশ পাকিস্তান বৃহস্পতিবার বন্ধ হওয়া টেন্ডারের মাধ্যমে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে এলএনজির ১০টি চালান কিনতে চেয়েছিল। ব্লুমবার্গএনইএফ এর সংকলিত তথ্য অনুসারে, পাকিস্তান গত বছর তার প্রায় অর্ধেক এলএনজিই স্পট মার্কেট থেকে কিনেছে। বাকিটা দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় এসেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাকিস্তান দরপত্র দাতাদের কাছ থেকে অফার পেয়ে থাকলেও সরকার দাম বাড়ার কারণে আদৌ তা কিনতে সক্ষম হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এসআই