ইউক্রেন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোয় প্রতিশোধ হিসেবে দেশটির ৩৮৪ আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মস্কো। তারা রাশিয়া ঢুকতে পারবেন না।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জাপানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নিজেদের ওয়েবসাইটে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাপানের পার্লামেন্ট সদস্যসহ বিভিন্ন আইনপ্রণেতার নাম প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ সম্পর্কে বলেছে, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের বিষয়ে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রকাশ করা কখনই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না। রাশিয়াবিরোধী অবস্থানের কারণে জাপানি আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোয় রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে টোকিও। একইসঙ্গে দেশটিতে থাকা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদও জব্দ করেছে। এরপর থেকে মস্কো ও টোকিওর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মস্কোর এ পদক্ষেপকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার কর্মকাণ্ড খুব স্পষ্টভাবে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করে ও আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে যায়। আমরা এ পদক্ষেপের সমালোচনা করছি ও কূটনৈতিক আলোচনায় ফিরে আসতে রাশিয়াকে জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।
তার গত মে মাসে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর রাশিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় মস্কো।
এ ছাড়া গ্রুপ-সেভেনে যোগ দিয়ে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দের ঘটনার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে শাখালিন-২ তেল ও গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প থেকে জাপানি অংশীদারি রুশ অপারেটরের কাছে হস্তান্তরের জন্য ডিক্রি প্রকাশ করে মস্কো।
কিন্তু জাপান এ প্রকল্প টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কারণ দেশটি জীবাশ্ম জ্বালানির পুরোটাই আমদানিনির্ভর। জাপানের আমদানীকৃত তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের ৮ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে।
বাংরাদেশ সময় : ১২৪২ ঘণ্টা, ১৬ জুলাই, ২০২২
এমজে