ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো দেশের বাইরে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তিনি ইরানে গেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সফরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পুতিন।
তুরস্কের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শস্য রপ্তানি, সিরিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সফর কমিয়ে দিয়েছেন পুতিন। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত জুনে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সফরে তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান সফরে যান পুতিন।
ইরান সফরে পুতিন তেহরানের সাথে সম্পর্ক গভীর করার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। রাশিয়া ও ইরান উভয় দেশই পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে তেহরান রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে শত শত ড্রোন দেবে।
সোমবার ( ১৮ জুলাই) পুতিনের শীর্ষ পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা যুরি উশাকোভ বলেছেন, খামেনির সঙ্গে যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তাদের মধ্যে একটি বিশ্বস্ত সংলাপ হতে চলছে।
এদিকে সিরিয়া যুদ্ধে বাশার আসাদ সরকারের মিত্র হচ্ছে রাশিয়া। অপরদিকে আসাদবিরোধীদের সমর্থন করছে তুরস্ক। এ সংঘাত কমাতে পুতিন ও এরদোগানের মধ্যে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে বিরোধ থাকলেও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর তুরস্ক রাশিয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময় : ১৫০৫ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই, ২০২২
ইআর