ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের কারণে মস্কোর সঙ্গে ‘শত্রুসুলভ আচরণ’ করায় ‘বন্ধু নয়’ তালিকায় আরও পাঁচটি নাম যোগ করেছে রাশিয়া। নতুন দেশগুলোর প্রত্যেকটি ইউরোপের।
দ্য মস্কো টাইমস’র খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২২ জুলাই) এ তালিকা প্রকাশ করে মস্কো। অ-বন্ধু তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলো হলো- গ্রিস, ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভাকিয়া।
এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও চেক প্রজাতন্ত্রকে এ তালিকায় যোগ করে রাশিয়া।
মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করায় এ পাঁচটি দেশ তাদের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তারা ইউক্রেনকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে। যা বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের আচরণের সঙ্গে মানানসই নয়।
তালিকা প্রকাশের পর সরকারি এক ডিক্রি জারি করে বলা হয়, স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়া রাশিয়ায় তাদের কূটনৈতিক মিশন এবং কনস্যুলার অফিসে কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে না। দেশটিতে অবস্থিত গ্রিসের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোয় বর্তমানে ৩৪ জন স্থানীয় কর্মী রয়েছেন। ডেনমার্ক ও স্লোভাকিয়ার দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো কর্মী সংখ্যা যথাক্রমে ২০ ও ১৬ জনে সীমাবদ্ধ।
গত এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে রাশিয়া তাদের বন্ধু নয় এমন দেশের তালিকা সম্প্রসারণ করলো।
রুশ সরকার বলছে, রাশিয়ান মিশন নিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর চলমান শত্রুতামূলক পদক্ষেপকে বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এটি আরও বড় হতে পারে।
ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর মস্কোর সঙ্গে ‘শত্রুসুলভ আচরণ’ করায় পশ্চিমাসহ ৪৮টি দেশের তালিকা তৈরি করে রাশিয়া। এসব দেশের ওপর অর্থনৈতিক সীমাও আরোপ করে রুশ সরকার। সরকারি ডিক্রি জারি করে বলা হয়, এসব দেশের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রাশিয়ার কেউ লেনদেন করতে চাইলে আগে রুশ সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
একইসঙ্গে দেশগুলোর নাগরিকদের রাশিয়া ভ্রমণে ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তালিকাভুক্ত শত্রু দেশের ঋণদাতাদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ রুশ মুদ্রা রুবলে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। কর্পোরেট চুক্তি বাস্তবায়ন করতে সরকারি অনুমোদন নেওয়ার নির্দেশ দেয় মস্কো।
গত মে মাসে বিদেশে থাকা বহু রুশ নাগরিকের অর্থ-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিভিন্ন দেশ। বিপরীতে রুশ প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সেসব দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৪০ ঘণ্টা, ২২ জুলাই, ২০২২
এমজে