গোটা বিশ্বকে খাদ্য সংকট থেকে বাঁচাতে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির জন্য কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো খুলে দিতে চুক্তি সই করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২৩ জুলাই) থেকেই জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে ইস্তাম্বুলে ঐতিহাসিক এ চুক্তি সই করে দুই দেশের প্রতিনিধি দল।
রাশিয়ার হয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু এবং ইউক্রেনের হয়ে দেশটির অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী ওলেকসান্দার কুবরাকভ সেই চুক্তিতে সই করেছেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
চুক্তি অনুযায়ী পণ্যবাহী জাহাজ যাত্রা শুরুর আগে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে শস্য ভর্তির কাজ নিরীক্ষণ করবে তুরস্ক, ইউক্রেন ও জাতিসংঘ। জাহাজগুলো কৃষ্ণসাগর অতিক্রম করে তুরস্কের বসফরাস প্রণালির দিকে যাবে।
জাতিসংঘ, ইউক্রেন, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা ইস্তাম্বুলের একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র থেকে জাহাজ পর্যবেক্ষণ করবেন।
ইউক্রেনে প্রবেশকারী জাহাজগুলোও একইভাবে যৌথ সমন্বয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করা হবে, যাতে তারা ইউক্রেনে অস্ত্র বহন করতে না পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন অত্যাবশ্যক শস্য পরিবহনে নিযুক্ত কোনো বাণিজ্যিক জাহাজ বা বন্দরগুলোতে আক্রমণ করবে না।
চুক্তি অনুযায়ী পণ্যবাহী জাহাজ যাত্রা শুরুর আগে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে শস্য ভর্তির কাজ নিরীক্ষণ করবে তুরস্ক, ইউক্রেন ও জাতিসংঘ। জাহাজগুলো কৃষ্ণসাগর অতিক্রম করে তুরস্কের বসফরাস প্রণালির দিকে যাবে।
বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশিয়া ও ইউক্রেন। যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যকার এই চুক্তি সইয়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তুরস্ক ও জাতিসংঘ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সারাবিশ্বে সৃষ্ট খাদ্য সংকট এই চুক্তির ফলে অনেকটা কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেকার চুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, চুক্তিটি ইউক্রেন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্য রপ্তানির পথ খুলে দেবে এবং যুদ্ধের প্রভাবে মারাত্মক সংকটে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলো এ থেকে উপকৃত হবে। চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, চুক্তি অনুযায়ী শনিবার (২৩ জুলাই) থেকেই জাহাজ চলাচল শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এমইউএম/এফআর