সাগর পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ১৭ জন মারা গেছেন। নিহতরা সবাই হাইতির নাগরিক।
বাহামাসের প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিস বলেছেন, নৌকায় থাকা ব্যক্তিরা হাইতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামিতে যাচ্ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে এবং তার খোঁজে অনুসন্ধান অভিযান চলছে।
বাহামাসের পুলিশ কমিশনার ক্লেটন ফার্নান্ডার বলেছেন, নৌকাটিতে ৬০ জনের বেশি মানুষ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনার পর দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটক দুজনই বাহামার বাসিন্দা। তাদেরকে মানব পাচার কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করা হয়।
বাহামাসের পুলিশ জানিয়েছে, নিউ প্রভিডেন্স দ্বীপ থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে নৌকাটি ডুবে যায়। উল্টে যাওয়া নৌকার মধ্যে জীবিত এক নারীসহ আরও ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাহামার অভিবাসন মন্ত্রী কিথ বেল বলেছেন, নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রার জন্য তারা ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্থ প্রদান করেছেন।
গত মে মাসে পুয়ের্তো রিকোর কাছে নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ১১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই ছিল হাইতির নাগরিক।
২০১০ সালে হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে দেশটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময় : ০৯৪৮ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০২২
ইআর