ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নিখোঁজ তোতাপাখি ফিরে পেয়ে লাখ টাকা পুরস্কার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২২
নিখোঁজ তোতাপাখি ফিরে পেয়ে লাখ টাকা পুরস্কার!

হারানো তোতাপাখি ফিরে পেয়ে সন্ধানদাতাকে প্রায় লাখ টাকা (১ হাজার ৬৫ ডলার) পুরস্কার দিয়েছে ভারতের কর্নাটকের টুমাকুরুর একটি পরিবার।  

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ভারতের রাজ্যটির ব্যবসায়ী অর্জুন শেট্টির বাড়িতে ধূসর রঙের রাজকীয় আফ্রিকান জাতের এক জোড়া তোতাপাখী ছিল।

এর মধ্যে ‘রুস্তম’ নামের তোতাপাখি পাঁচ দিন আগে নিখোঁজ হয়। বাড়ি থেকে হঠাৎ পোষা তোতাপাখি উধাও হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিল ওই পরিবার। বিচলিত ছিল ‘রুস্তমের’ সঙ্গী তোতা ‘রিও’। পাখিটিকে খুঁজে দেওয়ার জন্য নগদ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে পরিবারটি।  

তোতাপাখিটি দরজা খোলা পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ‘রুস্তম’ বাড়ি ফিরে এলে তার গালে চুমু দিতে থাকে আনন্দিত ‘রিও’।  

তোতাপাখির নিখোঁজ হওয়ার পর চিন্তিত পরিবার ঘোষণা দেয়, ‘পাখিটির সন্ধান দিতে পারলে তাকে নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে।  

পাঁচ দিন পর রুস্তমকে ফিরে পেয়ে পরিবারটি খুশিতে উদ্ধারকারীদের ৮৫ হাজার রুপি দেয়, যা ঘোষিত অর্থের চেয়েও বেশি। শুরুতে তারা ৫০ হাজার রুপি অর্থ পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিল, বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল।  

শেট্টি পরিবার জানিয়েছে, তিন বছর আগে তারা বেঙ্গালুরু শহর থেকে দুটি তোতা কিনেছিল। আফ্রিকান গ্রে তোতাকে ভারতে পোষা প্রাণী হিসাবে রাখা বেআইনি নয়, তবে সংরক্ষণবাদীরা প্রায়শই ভারতে বহিরাগত পাখির প্রজনন এবং ব্যবসায় বিধিনিষেধের পক্ষে কথা বলেছে।

ব্যবসায়ী অর্জুন শেট্টি বলেন, আমরা তাদের সবসময় আমাদের পরিবারের অংশ হিসাবে বিবেচনা করেছি এবং তাদের খাঁচায় রাখার বিষয়ে কখনোই বিশ্বাস করিনি।

তিনি বলেন, পাখিরা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে- বিশেষ করে তাঁর সাত বছরের ছেলে ভিহান এবং তাদের চারপাশে শোনা শব্দগুলি অনুকরণ করতে।

ব্যবসায়ী শেট্টি বলেছেন, তিনি ‘উল্লেখযোগ্য’ অর্থ ব্যয় করেছেন রুস্তমের ছবিসহ লিফলেট এবং পোস্টার ছাপানোর জন্য। তারা টুমাকুরু শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় পোস্টার লাগায়, যেখানে তারা বাস করে। রুস্তমের খোঁজে মাইকিংও করা হয়। খোঁজ চলছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমেও।  

যখন এ কার্যক্রম চলছিল, তখন রুস্তম তাদের থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ছিল। দুই শ্রমিক শ্রীনিবাস ও কৃষ্ণমূর্তি তোতাটিকে পেয়ে দেখাশোনা করছিলেন।  

কৃষ্ণমূর্তির দেওয়া তথ্যমতে, বাড়ি ছাড়ার একদিন পরেই রুস্তমকে খুঁজে পেয়েছিলেন তারা। পাখিটি একটি গাছের ওপরে বসে ছিল এবং বিড়াল ও কুকুর থেকে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করছিল। ভয় ও ক্ষুধায় পাখিটি নিস্তেজ ও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২২
এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।