স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর প্রায় ১ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ) খরচ করে তার খোঁজ করেন স্বামী। অবশেষে ওই স্ত্রী-র খোঁজ মিলল তার প্রেমিকের সঙ্গে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এন সাই প্রিয়া ও তার স্বামী শ্রীনিবাস রাও বিশাখাপত্তনমের সঞ্জীভানগর কলোনির বাসিন্দা। সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে স্বামীর সঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালনের জন্য প্রথমে স্থানীয় এক মন্দিরে যান। তারপর তারা বিশাখাপত্তনমের রামকৃষ্ণ বিচে সময় কাটাতে পৌঁছান। সেখানেই ঘটে এই অদ্ভুত ঘটনা। একটি ফোন আসায় কিছুক্ষণের জন্য স্ত্রীকে একা রেখে উঠে যেতে হয় শ্রীনিবাসকে। ফিরে এসে আর স্ত্রীকে খুঁজে পাননি তিনি।
ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৭ টা ৩০। সমুদ্র সৈকতে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে রীতিমতো ভয় পেয়ে যান স্বামী শ্রীনিবাস। তিনি মনে করেন কোনওভাবে সমুদ্রের ঢেউয়ে তার স্ত্রী ভেসে গিয়ে থাকবেন। তখনই পুলিশের কাছে ছুটে যান শ্রীনিবাস।
পরদিন সকালেই খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এলাকার সমস্ত কোস্টগার্ডদের নিয়ে শুরু হয় সার্চ অপারেশন। প্রথমে খোঁজ শুরু হয় স্পিডবোটের মাধ্যমে। কিন্তু বেশ খানিকক্ষণ খোঁজার পরেও কিছুই পাওয়া যাইনি। এরপর পুলিশ দ্বারস্থ হয় নৌবাহিনীর। কাজে লাগানো হয় নেভি হেলিকপ্টারগুলো। সারাদিন কেটে গেলেও রামকৃষ্ণ বিচ অঞ্চল থেকে কোনওভাবেই এন সাই প্রিয়া-র খোঁজ পাওয়া যায়নি। এত কিছুর জন্য খরচও হয় প্রায় ১ কোটি রুপি। একই সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়ায় সেই এলাকাতেও। কোনও উপায় না পেয়ে খবর পাঠানো হয় বিভিন্ন থানাগুলোতে।
এরপরই বুধবার (২৭ জুলাই) নেল্লোর জেলার কাছের একটি জায়গায় খোঁজ পাওয়া যায় এন সাই প্রিয়ার । জানা যায়, সেখানে তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে রয়েছেন। নিজেই ফোন করে সেকথা তার স্বামীকে জানান প্রিয়া।
পুলিশ জানায়, অনেকদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রবি ও প্রিয়ার। তবে এমন ঘটনায় রীতিমতো বিরক্ত হয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন ও নেভি কর্মকর্তারা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
ইআর