চীন হামলার মতো করে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তাইওয়ান। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের জেরে বৃহস্পতিবার ( ৪ আগস্ট) থেকে এই মহড়া শুরু হয়।
শনিবার ( ৬ আগস্ট) তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চীনের যুদ্ধ বিমান ও জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলো তাইওয়ান প্রণালীতে সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আমাদের সামরিক বাহিনী সতর্কবার্তা দিয়েছে। যুদ্ধ বিমান টহল ও নৌযান মোতায়েন করেছে এবং পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, শুক্রবার তাইওয়ান প্রণালীতে ৬৮টি চীনা যুদ্ধ বিমান প্রবেশ করে।
বুধবার ( ৩ জুলাই) তাইওয়ান সফরে যান পেলোসি। সেখানে তিনি দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনসহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে চীন সরকার।
পেলোসির সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে রেখেছিল চীন। তবে পেলোসি এসব হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান সফর করেন।
বৃহস্পতিবার ( ৪ জুলাই) পেলোসির সফরের জেরে ২২টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমায় পাঠায় চীন। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালীতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে বেইজিং।
আগামী রোববার (৭ আগস্ট) পর্যন্ত তাইওয়ানকে ঘিরে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে এই মহড়া চালাবে চীন।
১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেইজিং।
সূত্র: সিএনএন
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
ইআর