পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে খালি হওয়া আসন মারদান, চরসাদ্দা, পেশোয়ার, কুররাম, ফয়সালাবাদ, নানকানা, মালির, কোরাঙ্গি ও করাচি দক্ষিণে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নয়টি আসনে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) হয়ে একাই লড়বেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
জিও নিউজ’র খবরে বলা হয়েছে, নয় আসনে কখনই একক প্রার্থী নির্বাচন করেননি। ইমরান যদি সত্যিই নয়টি আসনে একা নির্বাচনে লড়েন, এটি পাকিস্তানের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
ইতোমধ্যে এ নয়টি আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রস্তুতি শুরু করেছেন ইমরান খান। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর আসনগুলোয় উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে পাঞ্জাবের উপ-নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ইমরানের পিটিআই। মারদান, চরসাদ্দা, পেশোয়ার, কুররাম, ফয়সালাবাদ, নানকানা, মালির, কোরাঙ্গি ও করাচি দক্ষিণে অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচন বর্তমানে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে। ক্ষমতাসীনদের জন্যও এটি বড় পরীক্ষা।
পাকিস্তানে নির্বাচনে লড়তে একজন প্রার্থীর জন্য আসন নির্ধারণে বিধিনিষেধ নেই। তাই একজন প্রার্থী একাধিক আসনে নির্বাচন করতে পারেন। তবে, নির্বাচিত প্রার্থী একসঙ্গে সবগুলো আসন নিজের দখলে রাখতে পারেন না।
ইমরান যদি সবগুলোতেই জিতে যান, একটি আসর রেখে বাকিগুলোয় ফের নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। এ ক্ষেত্রে মাত্র ৬০ দিনের সময় পাবে নির্বাচন কমিশন।
অনাস্থা ভোটে ইমরানের পরাজয়ের পর গত ১১ এপ্রিল পিটিআই’র ১২৩ নেতা পদত্যাগ করেন। তাদের মধ্যে ১১ জনের পদত্যাগ পত্র গত গত ২৮ জুলাই গ্রহণ করেন স্পিকার। ওই ১১ আসনের মধ্যে দুটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিটিআই’র দুই প্রতিনিধি এতে নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময় : ২১০০ ঘণ্টা, ১৩ আগস্ট, ২০২২
এমজে