ঔপনাস্যিক সালমান রুশদির সমর্থকরাই তার ওপর হামলার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছে ইরান। সোমবার ( ১৫ আগস্ট) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে ছুরি হামলার পর দ্রুত সেরে উঠছেন রুশদি।
এই হামলার বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, রুশদির ধর্মবিরোধী লেখা বাকস্বাধীনতা নয়।
সালমান রুশদি ইসলামিক পবিত্রতা অবমাননা করেছেন । সালমান রুশদির ওপর হামলার জন্য তিনি এবং তার সমর্থকদের ছাড়া অন্য কাউকে তিরস্কার বা নিন্দা করার যোগ্য মনে করি না। এ ব্যাপারে ইরানকে অভিযুক্ত করার অধিকার কারো নেই।
ধারণা করা হচ্ছে, রুশদির লেখা বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর কারণেই হামলা চালানো হয়েছে ৭৫ বছর বয়সি লেখকের ওপর। ওই বইয়ের কারণে নব্বইয়ের দশকে ইটালির মিলানেও রুশদির ওপর হামলা চালানো হয়। এমনকি, এই বইয়ের জাপানি অনুবাদক হিতোসি ইগারাসিকেও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় টোকিওর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের প্রধান নেতা মরহম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এই বই রচনার জন্য ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। তবে, তার মৃত্যুর পর ইরানের সরকার সেই ডিক্রি থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু ইরানসহ বিশ্বজুড়েই রুশদি-বিরোধী মনোভাব বজায় ছিল। কেউ রুশদিকে হত্যা করতে পারলে তাকে ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছে ইরান।
২০০০ সালের পর থেকে রুশদি মূলত নিউইয়র্ক সিটির ইউনিয়ন স্কয়ার এলাকায় বাস করছেন।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২২
ইআর