পূর্ণমাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল ও তুরস্ক। সম্পর্কে ধারাবাহিক উন্নতি হওয়ায় উভয় দেশে পরস্পরের রাষ্ট্রদূতদের ফেরানো হবে বলে বুধবার ( ১৭ আগস্ট) ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের টেলিফোনে কথোপকথনের পর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক গভীর করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা দৃঢ় করতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি অবদান রাখবে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাবর্তন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মানে ফিলিস্তিনি ইস্যু থেকে সরে যাওয়া নয়।
২০১৮-১৯ সালে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের বিরুদ্ধে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভের সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। এই ঘটনায় সেই সময় বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয় তুরস্ক। ওই সময় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কার করে আঙ্কারা।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘন্টা, ১৭ আগস্ট, ২০২২
এমকে/ইআর