চীন অভিযোগ করেছে, তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ভুল ও ভয়ংকর বার্তা দিচ্ছে। ওয়াশিংটনের তাইওয়ানে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই বলেও দাবি করেছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মধ্যকার ৯০ মিনিটের বৈঠকে চীন তার অভিযোগের কথা সরাসরি জানিয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের বৈঠকের ফাঁকে তারা এই আলোচনা করেন।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এটা পরিষ্কার করেছেন যে আমাদের দীর্ঘদিনের এক-চায়না নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ওই প্রণালীতে (তাইওয়ান) শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ’
আর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন খুব ভুল ও ভয়ংকর বার্তা তাইওয়ানে পাঠাচ্ছে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা কার্যক্রমকে আরও তরান্বিত করছে। আর এতে শান্তিপূর্ণ মীমাংসার সম্ভাবনা আরও কমছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তাইওয়ান ইস্যু সম্পূর্ণভাবে চীনের অভ্যন্তরীণ ঘটনা এবং এই তরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের তাতে হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই। ’
বেইজিং ও তাইপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা বর্তমানে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। চীন গণতান্ত্রিক এই ভূখণ্ডকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে। সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনের সামরিক বিমানের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় উত্তেজনার পারদ এখন চরমে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাকবিতণ্ডা ও সামরিক তৎপরতা থাকলেও চীন খুব শিগগির তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারবে না।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
এসআইএস