যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্থানীয় সময় রোববার (২৩ অক্টোবর) দেওয়া এক বিবৃতিতে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ব্রিটেনের পরবর্তী নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতায় তার জন্য এমপিদের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। তবে তা সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের চেয়ে অনেক কম। এতে করে সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল।
এরই মধ্যে ঋষি সুনাক প্রায় ১৫০ এমপির সমর্থন পেয়েছেন। বরিস জনসন সরে যাওয়ায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্বের লড়াই হবে ঋষি সুনাক ও হাউজ অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্টের মধ্যে। এখন যে অবস্থা তাতে পেনি মর্ডান্ট সহকর্মী টোরি এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জনের মনোনয়ন বা সমর্থন নিশ্চিত করতে না পারলে ঋষি সুনাকই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা মনোনীত হবেন এবং সোমবারই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বরিস জনসনের পদত্যাগের পর মাত্র মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য প্রাথমিকভাবে আগ্রহী প্রার্থীদের কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপির সমর্থন প্রয়োজন। সোমবার দুপুরের মধ্যেই আগ্রহী প্রার্থীকে কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় এমপির সমর্থন দেখাতে হবে। যদি মাত্র একজন প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন জোগাড় করতে সমর্থ হন তাহলে তিনিই হবেন দলীয় নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আর এমপি ও দলীয় সদস্যদের ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।
যদি দুইয়ের অধিক প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন আদায়ে সফল হন তাহলে দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সবচেয়ে কম ভোট যিনি পাবেন তাকে বাদ দেবেন। এভাবে প্রার্থীর সংখ্যা দুইজনে নেমে আসার পর এমপিরা আবার তাদের পছন্দ বাছাই করবেন। এরপর দলীয় সদস্যরা অনলাইনে ভোট দেবেন। সবার ভোট হিসেব করে যিনি জয় হবেন তিনিই হবেন দলীয় নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
ইআর