ইরানের শিরাজ শহরে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপসানালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় শাহ চেরাগ মাজারে অস্ত্রসহ তিন ব্যক্তি প্রবেশ করে। এরপরই হামলা চালাতে শুরু করেন তারা। একজন পালিয়ে যান। দুজনকে আটক করে ফেলা হয়। হামলায় নিহতদের মধ্যে দুই শিশু ও এক নারী রয়েছেন।
এদিকে, শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাজারটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। হামলার ব্যাপারে টেলিগ্রামে একটি বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় হামলা শুরু হয়। গুলি শুরু হলে তারা পালানোর চেষ্টা করেন। কে গুলি করছিল তা দেখা যাচ্ছিল না। রাস্তা থেকে গুলি চালিয়ে হামলাকারীরা মাজারের দিকে আসে। যাকেই দেখছিলেন তারা গুলি করছিলেন।
তেহরান ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব ওয়ার্ল্ড স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেন, গুলি চালানোর উদ্দেশ্য ছিল উপাসকদের ওপর হামলা করা। এটা আইএসআইএস ট্রেডমার্ক। তারা মসজিদে-মাজারে হামলা করে।
অপরদিকে, ধর্মীয় উপাসনালয়ে ন্যক্কারজনক হামলার জবাব দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থার তাসনিম জানিয়েছে, অতীত অভিজ্ঞতা দেখায়, ইরানের শত্রুরা নাগরিকদের মধ্যে বিভেদ তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ার পর সহিংসতা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়। যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটির প্রতিউত্তর দেওয়া হবে না। তবে, নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এ হামলার পেছনে যারা আছেন, তাদের সমুচিত জবাব দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
এমজে