কাতারে চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল। এই বিশ্বকাপে ইরান হামলা চালাতে পারে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিসের সম্মেলনে তিনি ইরানের বিক্ষোভ নিয়ে কথা বলেন। দেশটি বিশ্বকাপে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, কাতারে চলমান বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ বানচাল করার কথা ভাবছে ইরান। যাই হোক, প্রধান কাজ হচ্ছে তাদের প্রতিহত করা। কাতারের প্রতিক্রিয়া কী হবে?
সেপ্টেম্বরে ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামক এক তরুণীর মৃত্যু ঘিরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর এবারই বিপত্তিকর এক চ্যালেঞ্জের সামনে রয়েছেন দেশটির নেতারা।
আমিনির মৃত্যুর পর তেহরান থেকে বিক্ষোভ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির নেতারা বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে একটি কুর্দিশ শহরের নিয়ন্ত্রণ পেতে সেখানে সৈন্য পাঠিয়েছিল।
ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা বলেন, স্থায়িত্ব ও তীব্রতা বিবেচনায় চলমান বিক্ষোভ অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এই বিক্ষোভ নাগরিক দাঙ্গায় রূপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ ও কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে চলমান বিক্ষোভ দেশটির শাসনব্যবস্থাকে বিপদে ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ইরানের ওপর চাপ বাড়ছে, ইরানিরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগ্রাসী প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। আমাদের আশা করত পারি, ইরান এই অঞ্চলে এবং বিশ্বে আরও আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে।
যেহেতু ইরান পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবছে, সেহেতু হালিভা তার বক্তব্যে অনড় যে, বিশ্বকাপ হুমকির মুখে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি বলছি যে, ইরানিরা এখন কাতারের বিশ্বকাপে আঘাত হানার কথা ভাবছে। তারা কাতারের প্রতিক্রিয়াকে ভয় পায়। এই প্রবণতা চলতেই থাকবে। ইরান চাপের মধ্যে আছে। এটি আগ্রাসী তাদের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের দিকে ধাবিত করবে।
ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যে এর সহযোগীদের রুখে দিতে যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬, নভেম্বর ২২, ২০২২
আরএইচ