ইসলাম ধর্মের বিধান অনুসারে দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা হলো অজু।
নামাজ, হজ, কোরআন স্পর্শ করে তেলাওয়াতসহ অনেক ইবাদতে অজু করা আবশ্যক।
প্রসঙ্গত, অজু করলে যেমন দৈহিক পবিত্রতা লাভ হয়, একইসঙ্গে অজু বান্দার পাপও মোচন করে।
আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুমিন বান্দা অজু করার সময় যখন তার চেহারা ধৌত করে তখন তার চেহারা থেকে পানির সঙ্গে ওইসব গুনাহ ঝরে পড়ে, যা সে দুই চোখ দিয়ে করেছিলো। যখন সে দুহাত ধৌত করে, তখন হাত দিয়ে যে গুনাহগুলো করেছিলো তা পানির সঙ্গে ঝরে পড়ে। এরপর যখন সে দুই পা ধৌত করে তখন পানির সঙ্গে পায়ের গোনাহও বের হয়ে যায়। অজু শেষে সে গুনাহ থেকে পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম: ২৪৪)
ওসমান ইবনে আফফান (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে উত্তমরূপে অজু করে, তার শরীর থেকে গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়। তার নখের নিচ থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়। (সহিহ মুসলিম: ২৪৫)
আরেকটি হাদিসে রাসূলুর্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পরিপূর্ণরূপে অজু করার পর কেউ যদি বলে- أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُه
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুল্লাহি ওয়া রাসুলুহু।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে প্রবেশ করবে’। (সহিহ মুসলিম: ২৩৪)
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
জেএইচ