ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

চাঁদ দেখা সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৪
চাঁদ দেখা সম্পর্কে মহানবী (সা.) যা বলেছেন

পবিত্র কোরআনে নতুন চাঁদ বিষয়ে বলা হয়েছে, লোকেরা আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন! তা মানুষ ও হজের জন্য সময় নির্দেশক।

(সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৯)

উল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা চাঁদের উদয় ও অস্তকে সময় নির্দেশক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চাঁদ উঠলে মানুষ মাসের সূচনা ও সমাপ্তির কথা জানতে পারে।

ফলে তারা হজ ও রোজা আদায়ের সময় সম্পর্কে অবগত হয়। আলেমরা এ বিষয়ে একমত যে রমজানের রোজা চাঁদ দেখেই রাখা হবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার করো। যদি আকাশ তোমাদের কাছে মেঘাচ্ছন্ন হয়, তবে তোমরা ৩০ দিন পূর্ণ করো। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৮১)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, লোকেরা রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করছিল, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জানালাম, আমি চাঁদ দেখেছি। তিনি রোজা রাখলেন এবং অন্যদের রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ২৩৪২)

উল্লিখিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয় কোনো ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি চাঁদ দেখলে সবার ওপর রোজা ফরজ হয়ে যায়। তবে কোনো ব্যক্তি যদি একা চাঁদ দেখে এবং তার চাঁদ দেখার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গ্রহণ না করে তবে সে অন্যদের সঙ্গেই রোজা রাখবে এবং অন্যদের সঙ্গেই ইফতার করবে।


নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমল করবে না। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যেদিন তোমরা সবাই রোজা রাখবে সেদিনই রোজা, যেদিন তোমরা সবাই রোজা ভঙ্গ করো সেদিনই হচ্ছে ঈদুল ফিতর এবং যেদিন তোমরা সবাই কোরবানি করো সেদিনই হচ্ছে কোরবানি। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬৯৭)

ইমাম তিরমিজি (রহ.) হাদিসটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদিসের ব্যাখ্যায় কতক আলেম বলেছেন—রোজা ও ঈদ জামাত ও বেশির ভাগ মানুষের সঙ্গে পালন করতে হবে।

আল্লামা সিন্ধি (রহ.) বলেন, এসব বিষয়ে কোনো ব্যক্তির একক ভূমিকা নেই এবং বৃহত্তর জামাত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সুযোগ নেই; বরং বিষয়গুলো ইমাম ও জামাতের ওপর ন্যস্ত হবে। ব্যক্তির জন্য আবশ্যক হলো ইমাম ও জামাতের অনুসরণ করা।

যদি কোনো সম্প্রদায় চেষ্টা করে এবং ৩০ তারিখের আগে চাঁদ দেখতে ব্যর্থ হয়, ফলে তারা ৩০ রোজা পূর্ণ করে। অতঃপর প্রমাণিত হয় যে মাস ২৯ দিনের ছিল তবে তাদের ওপর কোনো কিছু আবশ্যক হবে না। একইভাবে যদি আরাফার দিন নির্ণয়ে সম্মিলিত ভুল হয়, তবে ‘ইআদা’ (পুনরায় আদায়) আবশ্যক হবে না। হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকায় রোজা রাখা ও না রাখার ক্ষেত্রে চাঁদের ওপর নির্ভর করতে হবে। শুধু জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করা যাবে না। (সংক্ষেপিত)

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।