ঢাকা: ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, গত তিন বছর ২০২২, ২৩ ও ২৪ সালে এয়ারলাইন্সগুলোর শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজ যাত্রীদের ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়নি।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মঙ্গলবারে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
ফরিদুল হক খান বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ হতে কেউ সৌদি আরব যাননি। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে হজ যাত্রীদের ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়নি।
তবে এ ধরনের সমস্যা নিরসনকল্পে ভবিষ্যতে সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্সসমূহের সাথে আলোচনা করে শিডিউল নির্ধারণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ, এম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-৭ পর্যায় প্রকল্পের আওতায় শিক্ষাদানে নিয়োজিত ইমামদের মাসিক সম্মানী পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। ধর্মীয় শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পকে বিস্তৃত করে ইমামদের প্রতিমাসে বেতন ও ঈদ বোনাসসহ দেওয়া হয়। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় বাস্তবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম -৬ পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রকল্প কেবলমাত্র শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা দানের জন্য গৃহীত তথাপি কেন্দ্র শিক্ষকরা সম্মানী বাবদ মাসে পাঁচ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।
তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিতদের বেতন দেওয়ার বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
এসকে/এসআইএস