ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

মহানবী (সা.) তায়েফের যে স্থানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৪
মহানবী (সা.) তায়েফের যে স্থানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন

তায়েফ সৌদি আরবের একটি প্রাচীন জনপদ। কয়েক হাজার বছর আগে যেখানে বসতি গড়ে উঠেছিল।

তায়েফের একটি দর্শকপ্রিয় স্থান মসজিদে কানতারা। ধারণা করা হয়, এখানে মহানবী (সা.) বিশ্রাম করেছিলেন।

উসমানীয় শাসকরা স্থানটি স্মরণীয় করে রাখতে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন।
আল কানতারা মসজিদ ‘মাদহুন মসজিদ’ ও ‘কাবিল মসজিদ’ নামেও পরিচিত। মসজিদটি প্রায় ১৭০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। তখন সৌদি আরব উসমানীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।

শরিফ আবদুল মুত্তালিব বিন গালিব এটি নির্মাণ করেন। মসজিদ নির্মাণে আব্বাসীয় শৈলী অবলম্বন করা হয়। এতে মসজিদে প্রাচীনত্বের ছাপ তৈরি হয়েছে। তায়েফবাসী দ্বিনের ব্যাপারে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর মহানবী (সা.) মক্কায় ফিরছিলেন।
পথে তিনি এই স্থানে—যা তখন একটি বাগান ছিল, তাতে বিশ্রাম করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পালকপুত্র ও সেবক জায়িদ বিন হারিস (রা.)। বাগানের মালিক ছিল মক্কার দুই সরদার উতবা ও শায়বা।
মহানবী (সা.) তখন মারাত্মকভাবে আহত ছিলেন এবং তাঁর সমস্ত শরীর রক্তাক্ত ছিল। এই অবস্থা দেখে বাগানের দুই মালিকের মনে দয়ার উদ্রেক হয় এবং তারা বাগানের শ্রমিক আদ্দাসের মাধ্যমে কিছু আঙুর পাঠিয়ে দেয়।
সেই বাগানের কিছু অংশ এখনো মসজিদের বিপরীত দিকে টিকে আছে। খ্রিস্টান দাস আদ্দাস নবীজি (সা.)-এর কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করেন। রাদিয়াল্লাহু আনহু (আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন)।
ঐতিহাসিকরা বলেন, স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও চাচা আবু তালিব মারা যাওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) ও মুসলমানদের ওপর মক্কাবাসীর অত্যাচার বেড়ে যায়। তখন মহানবী (সা.) তায়েফে যান ইসলাম প্রচার করতে। তারা ইসলামের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এবং নবীজি (সা.)-এর পেছনে দুষ্টু বালকদের লেলিয়ে দেয়। তারা পাথর নিক্ষেপ করে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ক্ষতবিক্ষত করে।
সূত্র : আরব নিউজ ও ওয়েলকাম সৌদি আরাবিয়া

লেখক: নিহার মামদুহ

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৪
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।