ঢাকা, শুক্রবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জুন ২০২৫, ২৩ জিলহজ ১৪৪৬

ইসলাম

বিনয়েই কল্যাণ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:৫৮, জুন ২০, ২০২৫
বিনয়েই কল্যাণ

বিনয় অর্থ অন্যকে নিজের চেয়ে বড় মনে করা এবং নিজেকে ছোট মনে করা আর সে অনুযায়ী আচরণ করা। আমার যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহতায়ালার দান।

তিনি যখন ইচ্ছা করবেন তা ছিনিয়ে নেবেন। এরকম মনে করাটাই হলো বিনয়। বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করতে কোরআন ও হাদিসে খুব জোর দেওয়া হয়েছে। উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

মানুষ যেহেতু আল্লাহর বান্দা, তাই বান্দার সৌন্দর্য ও কৃতিত্ব এটাই যে তার প্রতিটি কর্মে দাসত্ব ও বিনয় ফুটে উঠবে। বিনয়-নম্রতা দাসত্বেরই পরিচায়ক। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘রহমানের বান্দা তো তারাই, যারা পৃথিবীতে অবনত মস্তকে (নম্রভাবে) চলে। ’ -সূরা ফুরকান : ৬৩
অন্য আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা আখেরাতের সেই আবাস- যা আমি নির্ধারিত করব তাদের জন্য যারা পৃথিবীতে উদ্ধত হতে ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চায় না। ’ -সূরা কাসাস : ৮৩

হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের বিনয় অবলম্বন করতে উৎসাহ প্রদান করতেন। হজরত ইয়াজ ইবনে হাম্মাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহতায়ালা আমার প্রতি ওহি প্রেরণ করলেন যে তোমরা বিনয়-নম্রতা অবলম্বন কর। যার ফল এই হবে যে কেউ কারোর ওপর অহঙ্কার করবে না এবং কেউ কারো ওপর অবিচার করবে না। -সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৮৬৫

হজরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি নবীজীকে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয় অবলম্বন করে আল্লাহতায়ালা তার মর্যাদা বুলন্দ করেন। যার ফলে সে নিজের চোখে ছোট থাকে, কিন্তু মানুষের দৃষ্টিতে হয় মহান। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অহঙ্কার করে আল্লাহতায়ালা তাকে হেয় করেন। যার ফলে সে মানুষের দৃষ্টিতে ছোট হয়ে যায়, যদিও নিজের ধারণায় সে অনেক বড়। -জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫২

বিনয়ের মতো মহামূল্যবান গুণটি হাসিল করতে চেষ্টা করা ও বিনয় অবলম্বন করলে আমার নিজেরই উপকার হবে। বিনয়ে কারও কোনো ক্ষতি হয় না। বিনয়ের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রিয় পাত্র হতে পারি। আল্লাহতায়ালা সবাইকে বিনয়ের গুণে গুণান্বিত করুন। আমিন।

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।