যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠেও কিছু দোয়া পড়তে হয়।
* ঘুম থেকে উঠে প্রথমে হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা।
(বুখারি, হাদিস : ১৮৩)
* ঘুম থেকে ওঠার পড়ে যে দোয়া পড়তে হয় তা হলো:
الْحَمْدُ للَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)
* মিসওয়াক করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৫)মিসওয়াক করতে না পারলে ব্রাশ করে নেবে।
* অজু করে নেবে। গোসল ফরজ হলে গোসল করে নেবে।
* সম্ভব হলে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করবে। তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলে কুপ্রবৃত্তি দমন ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই দলনে রাত্রিকালীন উত্থান প্রবলতর এবং বাগ-স্ফুরণে সঠিক। ’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত: ৬)
* জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করবে। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল। ’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৫৬) মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।
আরএ