বিষয়টি অবাক করার মতো মনে হতে পারে। কারণ ইউরোপের সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত শহর হতে চলেছে মস্কো! যেখানে কি-না এক সময় নিষিদ্ধ ছিল ধর্ম-কর্ম! সেই মস্কোতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজে মস্কো জামে মসজিদে ৬০ হাজারের অধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছে।
মস্কো জামে মসজিদে মুসলমানদের ভিড় দেখে রাশিয়ান পথচারীরা অবাক হয়ে গিয়েছে। এবার মস্কো জামে মসজিদ এবং এ মসজিদের আশেপাশের পাঁচটি রাস্তায় (নামাজের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন মুসলমানরা।
ঈদের নামাজ চলাকালীন সময় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। নামাজ শেষে ধর্মীয় বিধানমতে মুসলমানরা ঈদের তকবির ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলো মস্কোর আকাশ-বাতাস। এছাড়াও মস্কোর অপর ৫টি মসজিদ এবং বেশ কয়েকটি ঈদগাহ ময়দানে ২ লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের নামাজের জন্য প্রতি বছর দু’বার মস্কোর অধিকাংশ রাস্তা (নামাজ চলাকালীন সময়) বন্ধ থাকে।
মস্কোর মতো বড় শহরে মুসলমানদের জন্য মাত্র ৬টি মসজিদ রয়েছে এবং মুসলমানরা নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য চেষ্টায় রয়েছেন। আশা কার হচ্ছে, খুব দ্রুত মুসলমানরা বেশ কয়েকটি মসজিদ নির্মাণের অনুমতি লাভ করবে।
মস্কোতে মুসলিম পর্যটকদের চাহিদা পূরণের জন্য মাত্র দু’টি হালাল রেস্টুরেন্ট রয়েছে। চেষ্টা চলতে রেস্টুরেন্টের সংখ্যাও বাড়ানোর। সেই সঙ্গে মুসলমানদের জন্য আলাদা জিম, স্বাস্থ্য ক্লিনিক, কিন্ডারগার্টেন এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠারও চেষ্টা চলছে। মস্কোতে প্রতিনিয়ত মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাশিয়ায় প্রায় ১৩ মিলিয়ন মুসলিম অধিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে ১.৫ মিলিয়ন মুসলমান মস্কোয় বসবাস করে। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাশিয়ায় প্রায় ২০ মিলিয়ন মুসলিম অধিবাসী রয়েছে।
মুসলমানদের ব্যাপক উপস্থিতির ফলে মস্কোর অনেক আইনই ইসলামি আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। সেই সঙ্গে মস্কো পরিণত হতে চলেছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত শহরে।
-অন ইসলাম অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘন্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
এমএ/