ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

পাশ্চাত্যে বেড়েছে পবিত্র কোরআন বিক্রির হার

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৫
পাশ্চাত্যে বেড়েছে পবিত্র কোরআন বিক্রির হার

ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু মানুষের বিদ্বেষ নতুন কোনো বিষয় নয়। ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকেই ইসলামের বিরুদ্ধে যতো ধরনের শত্রুতা করা যায় তা করেছে ইসলাম বিদ্বেষী মহলগুলো।

ইসলাম সম্পর্কে নানা আজগুবি ধারণা ও মিথ্যার প্রচার সেই প্রাথমিক যুগ থেকেই অব্যাহত ছিল- তা এখনও চলমান।

মজার বিষয় হলো, ইসলাম এমন একটি সত্য ও বাস্তব ধর্ম, যখনই এই ধর্মের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার জোরদার হয় তখনই মানুষের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই এই ধর্মের দিকে অমুসলমানদের ঝোঁক আরো বেড়ে যায়। দলবেঁধে মানুষ খুঁজতে থাকে ইসলামে নান্দনিক বিষয়গুলো।

আসলে পবিত্র কোরআনে কারিমের মানবীয় ও উচ্চতর আদর্শ আর মূল্যবোধগুলো প্রচারিত হোক, ইসলাম-বিদ্বেষী শক্তিগুলো তা কখনও চায়নি। কারণ, এর ফলে পশ্চিমারা দলে দলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে বলে তারা শঙ্কিত। কিছু পশ্চিমা প্রচার মাধ্যম কথিত জিহাদি গোষ্ঠীর নৃশংস নানা তৎপরতার ছবি খুব ফলাও করে প্রচার করে এবং বলে বেড়ায় যে, কোরআনে বর্ণিত ইসলামের জেহাদ আর এসব সন্ত্রাস একই সূত্রে গাঁথা। যদিও পবিত্র ইসলামের সঙ্গে এসবের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এসব প্রচারমাধ্যম মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংগঠিত বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ব্যাপারে নিরব। তারা কখনও কোরআন ও মহানবী (সা.)-এর অতি উচ্চমানের আদর্শগুলো তুলে ধরে না। মুসলমানদের কোনো ভালো কাজের স্বীকৃতি দেয় না। এটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।

এত কিছুর পর আশার কথা হলো, ইসলামের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যাচার সত্ত্বেও পাশ্চাত্যে এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইয়ের তালিকার শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে বিভিন্ন ভাষায় পবিত্র কোরআনের অনুবাদ ও তাফসির।

সম্প্রতি অন ইসলাম এমনই একটি খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দারুস সালাম পাবলিকেশন্স (Dar-us-Salam Publications) এর বরাত দিয়ে। রিয়াদভিত্তিক এই প্রকাশনার প্রায় ৫০টির বেশি শাখা রয়েছে পাশ্চাত্যের দেশসমূহে। বিভিন্ন ভাষায় কোরআনের অনুবাদ, হাদিসের অনুবাদসহ ইসলামি প্রকাশনার জগতে এই প্রতিষ্ঠানের বেশ সুনাম রয়েছে।

অন ইসলামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘বিগত এক যুগ ধরে আমাদের প্রকাশনী থেকে বিভিন্ন ভাষায় পবিত্র কোরআনের অনুবাদ ও তাফসির এডিশনের পর এডিশন বিক্রি হচ্ছে। কোরআনের অনুবাদ ও তাফসিরের চাহিদা অনলাইনেও প্রচুর। সত্যি কথা বলতে কী, পবিত্র কোরআনের অনুবাদ ও তাফসিরর জোগান দিতে দিতে আমরা অন্য বইগুলোর দিকে নজরই দিতে পারছি না। অথচ শিশু সাহিত্য ছিল আমাদের প্রথম পছন্দের বিষয়। ’

দীর্ঘদিন পর্যন্ত পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে কুরআন অনুবাদ করা ছিল নিষিদ্ধ এবং কেউ কেউ অনুবাদ করলেও তাতে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ও অপবাদ যুক্ত করা হতো যাতে পাশ্চাত্যের জনগণ প্রকৃত কোরআনের ছোঁয়া থেকে দূরে থাকে।

এখন সময় পাল্টেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যা প্রচারণার মাঝেও আগ্রহীরা ইসলাম ও কোরআন সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছে।

-অন ইসলাম অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘন্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।