আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন প্রতিটি মুসলমানের আরাধ্য বিষয়। আর সেই লক্ষ্যে নবী করিম (সা.)-এর হাদিস নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনা করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।
এক. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, চারটি জিনিস যার মধ্যে থাকে সে আল্লাহর মহিমাময় জ্যোতিসমৃদ্ধ হয়। কাজগুলো হলো-
ক. যার সব কাজের আশ্রয়স্থল হয় একমাত্র আল্লাহ সেই সঙ্গে সে সাক্ষ্য প্রদান করে আমি নবী হওয়ার ব্যাপারে।
খ. তার ওপর কোনো বিপদ আপতিত হলে সে বলে, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি আবার আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। ’
গ. ভালো কিছু লাভ করলে বলে, ‘আলহামদুলিল্লাহ। ’
ঘ. অপরাধ করলে বলে, ‘আসতাগফিরুল্লাহ, ওয়া আতুবু ইলাইহি’ অর্থাৎ আমি আল্লাহর ক্ষমা চাচ্ছি ও আল্লাহর কাছেই ফিরছি। ’
দুই. মহানবী (সা.) আরও বলেছেন, আল্লাহতায়ালা দু’টি স্বরকে খুব ঘৃণা করেন। বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা আর নেয়ামত লাভ ও খুশির সময় বাঁশি বাজানো (গান-বাজনা করা)।
তিন. রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষণ হলো- তাদের (দ্রব্যগুলোর) মূল্য সস্তা হওয়া এবং তাদের শাসকের ন্যায়বিচারক হওয়া। আর সৃষ্টির প্রতি আল্লাহর ক্রোধের লক্ষণ হলো- তাদের শাসকদের অবিচারক হওয়া এবং তাদের (পণ্য-দ্রব্যগুলোর) মূল্য চড়া হওয়া।
চার. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যাকে চারটি জিনিস দেওয়া হয় তাকে আর চারটি জিনিস দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় না। যাকে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ দেওয়া হয় তাকে মার্জনা থেকে বঞ্চিত করা হয় না। যাকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে দেওয়া হয়, তাকে বেশি অনুগ্রহ লাভ থেকে বঞ্চিত করা হয় না, আর যাকে তওবা করার (অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসার) তওফিক দেওয়া হয় তাকে তওবা গৃহীত হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় না। আর যাকে প্রার্থনার অনুমতি দেওয়া হয় তাকে তা মঞ্জুর হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয় না।
পাঁচ. নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি না জেনে জনগণের মধ্যে ফতোয়া প্রদান করে, তাকে আসমান ও জমিনের ফেরেশতারা অভিশাপ দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
এমএ