‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল্ হামদ। ’ এটাতে তাকবিরে তাশরিক বলে।
সহিহ বোখারি শরিফের অন্যতম ভাষ্যকার ইমাম বদরুদ্দিন আল-আইনি (রহ.) এ সম্পর্কে বলেন, ‘সাইয়্যেদুনা হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আদিষ্ট হয়ে স্বীয়পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) যখন জবেহ করতে পূর্ণ প্রস্তুত হলেন, তখন হজরত জিবরাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত থেকে হাবিলের কোরবানি করা দুম্বাটি নিয়ে রওনা হলেন। তার সন্দেহ হচ্ছিল, হয়তো তিনি জমিনে পৌঁছানোর আগেই হজরত ইবরাহিম (আ.) জবেহের কাজ সম্পন্ন করে ফেলবেন। তাই তিনি আকাশ থেকেই উচ্চ স্বরে আওয়াজ দিয়ে বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’। হজরত ইবরাহিম (আ.) তার কণ্ঠ শুনে আকাশপানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলেন, হজরত জিবরাইল (আ.)-এর ছেলে ইসমাইলের পরিবর্তে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে আসছেন। ফলে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার। ’ বাবার মুখে আল্লাহর একত্ববাদ ও বড়ত্বের বাণী শ্রবণে করে ছেলে ইসমাইল (আ.) ও আল্লাহর জালাল ও হামদ পেশ করে বললেন, ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল্ হামদ। ’
একজন ফেরেশতা ও একজন নবী এবং একজন ভাবী নবী- এই মহান ব্যক্তিত্রয়ের পবিত্র কালামসমৃদ্ধ এ আমলটুকু আল্লাহপাকের দরবারে এতটাই কবুল হয়ে যায় যে, কিয়ামত পর্যন্ত তা সব মুসলিম উম্মাহর কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকবে বলে আল্লাহ ঠিক করেন।
আরাফার দিন, অর্থাৎ ৯ জিলহজ তারিখের ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে ১৩ জিলহজ (এই ৫ দিনকে আইয়ামে তাশরিক বলা হয়) আসর নামাজ পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাজান্তে মুসল্লি চাই একাকী হোক বা জামাতে নামাজ আদায়কারী, পুরুষ হোক বা মহিলা- সবারই একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর মহিলারা অনুচ্চ স্বরে এই তাকবির বলবে। -শামি
ঈদুল আজহার নামাজান্তে তাকবিরে তাশরিক বলা উত্তম। মাসবুক নিজ নামাজ শেষ করে তাকবিরে তাশরিক বলবে। -শামি
আইয়ামে তাশরিকের কাজা নামাজ ওই দিনগুলোতে আদায় করলে তাকবিরে তাশরিক বলতে হবে। -শামি
বাংলাদেশ সময়:১৩১০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫
এমএ/