‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দিতে হয় এবং ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’ বলে সালামের উত্তর প্রদান করতে হয়। আসসালামু আলাইকুম অর্থ আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।
সালাম স্পষ্ট ও শুদ্ধভাবে দিতে হবে। সালামের বিকৃত উচ্চারণে সুফল পাওয়া যায় না। বরং তা গোনাহের কারণ হয়।
কিন্তু আমাদের সমাজের অনেককেই দেখা যায় যে, তাদের সালাম দিলে তারা মুখে জবাব দেন না; বরং মাথা কিংবা হাত নাড়িয়ে সালামের উত্তর দেন। এমনকি অনেকে কাউকে শুধু হাতের ইশারার মাধ্যমে সালাম দেন- মুখে কিছু বলেন না।
ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো- শুধু ইশারার মাধ্যমে সালামের আদান-প্রদান করা শরিয়তসম্মত নয়। সালাম আদান-প্রদানের সঠিক পদ্ধতি হলো, মৌখিকভাবে উচ্চারণ করে সালাম দেওয়া। সালাম কোন শব্দে দিবে এবং কীভাবে দিবে তা একাধিক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এবং এ ব্যাপারে কোরআনে কারিমেও নির্দেশনা এসেছে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হয় তোমরা জবাব দাও তার চেয়ে উত্তম পন্থায় অথবা উত্তরে তাই বল। -সূরা আন নিসা: ৮৬
সুতরাং মুখে জবাব না দিয়ে শুধু ইশারার মাধ্যমে সালামে উত্তর আদায় হবে না। মাসয়ালা হলো, সালামদাতা নিকটে থাকলে তাকে শুনিয়ে জবাব দেওয়া ওয়াজিব। অবশ্য সালামদাতা যদি বধির হয় কিংবা দূরে থাকে তাহলে মুখে উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি ইশারার মাধ্যমেও জবাবের কথা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বাঞ্ছনীয়। এর ব্যতিক্রম কিছু কাম্য নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএ