দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশ নিয়ে গঠিত।
নাগরিক সুবিধা ও উন্নত জীবনধারার জন্য কোরিয়ার সুখ্যাতি সর্বজনবিদিত। কোরিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার স্থায়ী এবং দেঢ় লাখ বিদেশি কর্মজীবী মুসলমান কোরিয়ায় অবস্থান করছেন।
১০২৪ খ্রিস্টাব্দে আরব ধর্ম প্রচারকরা সর্বপ্রথম কোরিয়ায় আসেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে ১১টি মসজিদ, ৫টি ইসলামিক সেন্টার ও ১০০টি নামাজের স্থান রয়েছে।
১৯৬৯ সালে কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত জমিতে গড়ে ওঠে সিউল কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার। সিউল সেন্ট্রাল মসজিদ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম মসজিদ যেটা হেনাম-ডং সিউলে অবস্থিত। এ মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৭৪ সালের অক্টোবরে। কয়েকটি মুসলিম দেশের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মিত হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ১৯৭৬ সালের ২১ মে। মসজিদটি ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনন্য সুন্দর মসিজদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
মসজিদের প্রথমতলায় মিটিং রুম ও কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের জন্য বরাদ্দ। ৪২৭ বর্গমিটার প্রশস্ত দ্বিতীয়তলা নামাজের জন্য নির্ধারিত। তৃতীয়তলা মহিলাদের নামাজ আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট করা।
মূল মসজিদের বাইরে ১৩৬২ বর্গমিটারের দুইতলা ভবন মিলনায়তনের জন্য ব্যবহার করা হয়। ভবনটির তৃতীয়তলা নির্মাণ করা হয় ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায়। মিলনায়তনটি বর্তমানে একটি মাদরাসাসহ (এডুকেশন ইনস্টিটিউশন ফর মুসলিম চিলড্রেন) অন্যান্য কাজ সম্পাদনে ব্যবহার হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএ