আমরা মানুষ। আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতায়ালা।
যে মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সৃষ্টি করলেন, আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করলেন, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং রক্ত সঞ্চালনের জন্য সর্বোত্তম ব্যবস্থা করে দিলেন- সেই আমরা ‘মানুষ’ আল্লাহর সৃষ্টি হয়ে আল্লাহর দেয়া রিজিক ভোগ করে, আল্লাহর নির্দেশ মেনে তার আনুগত্যের জীবন পরিচালনা করব, এটাই তো স্বাভাবিক। এর অন্যথা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন আচরণ, চরম অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।
আল্লাহর হুকুমের অবাধ্যতা মহাপাপের কাজ। যার কারণে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনে নেমে আসে নানা সমস্যা ও পাপাচার। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। না হলে মানবজীবনে মেনে আসবে আরও দুর্ভোগ। সেই সঙ্গে পরকালে ভোগ করতে হবে কঠিন সাজা।
আমরা জানি, ইসলাম মানুষের সার্বিক জীবনাচরণের পথনির্দেশ প্রদান করে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এমনকি, মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের সাফল্যের নির্দেশনাও প্রদান করে। আবার সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে সকাল তথা মানুষের সার্বক্ষণিক জীবনের সব কাজেরও বিধান ইসলাম বর্ণনা করেছে। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর কাজও এ বর্ণনা থেকে বাদ পড়েনি। এমতাবস্থায় দুনিয়াতে কল্যাণ ও শান্তি এবং আখেরাতের জীবনে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে হলে জীবনের সবক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালার দেওয়া বিধান মতে চলা উচিৎ। দুনিয়ায় কল্যাণ ও শান্তি লাভের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।
আমাদের মনে রাখতে হবে, ইসলামের সব বিধি-বিধান, অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি মহান আল্লাহর তাওহিদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। মানুষে মানুষে ভেদাভেদহীন ভ্রাতৃত্বের ধারণা মহান আল্লাহর একাত্মবাদের ধারণা থেকেই উৎসারিত। মহান আল্লাহ এক এবং একক। তারই বান্দা সবাই। কেউ কারও চেয়ে উত্তম বা অধম নয়। মানুষ মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'হে মানুষ! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী থেকে, পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারো। তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সে ব্যক্তিই অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকি। '
দেশের জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিমান, শিক্ষিত ও সুশীল সমাজের নারী, পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিজের এবং জাতির কল্যাণে বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখার আন্তরিক আহ্বান রইল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
এমএ