ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ভারতে তরুণ মুসলমানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
ভারতে তরুণ মুসলমানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাষ্ট্র। আফ্রিকা মহাদেশের পরেই ভারত সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিগতভাবে বিশ্বে সর্বাধিক বৈচিত্র্যপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল।

ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয় বৃহত্তম এবং অমুসলমান প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম। ভারত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। তবে অন্য সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মাঝে রয়েছে, মুসলমান (১৭.৪%), খ্রিস্টান (২.৩%), শিখ (১.৯%), বৌদ্ধ (০.৮%), জৈন (০.৪%), ইহুদি, পারসি ও বাহাই ধর্মাবলম্বীরা।

এত পরিসংখ্যানের মাঝে ছোট্ট অারেকটি পরিসংখ্যান হলো, ভারতে তরুণদের মাঝে মুসলমান সম্প্রদায়ের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশটির জনসংখ্যার ৪১ শতাংশের বয়সই ২০ বছরের নিচে। বিষয়টি বেশ কাকতালীয় বটে। খবর দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলমানদের মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশই ২০ বছরের নিচে। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শিশু ও কিশোরোর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জৈন সম্প্রদায়ের ২৯ শতাশের বয়স ০ থেকে ১৯ এর মধ্যে। খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩৭ শতাংশ। শিখ ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যথাক্রমে ৩৫ ও ৩৭ শতাংশ।

আদমশুমারির তথ্য অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪১ শতাংশেরই বয়স ২০ বছরের নিচে। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৯ শতাংশ। বাকি ৫০ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৫৯ এর মাঝে।

২০০১ সালের আদমশুমারির তুলনায় তরুণের সংখ্যা অবশ্য কিছুটা কমেছে। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশেরই বয়স ছিল ২০ এর নিচে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪৪ শতাংশ, মুসলিম সম্প্রদায়ের ৫২ শতাংশই ছিল তরুণ। জৈন সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে তা ছিল ৩৫ শতাংশ।

আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, সম্প্রদায় নির্বিশেষে শিশু ও কিশোরদের আনুপাতিক সংখ্যা কমছে। বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে।

গড় আয়ু বাড়ায় সব সম্প্রদায়েরই বয়স্কদের অনুপাত বেড়েছে। আদমশুমারি তথ্য অনুসারে, ৬০ বছর বয়সি বেশি মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। মুসলিমদের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ৬৪ শতাংশ। জাতীয় গড়ের তুলনায় যা প্রায় ৫০ শতাংশ কম। জৈন ও শিখদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সি বেশি মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ শতাংশের কাছাকাছি।

বয়স অনুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতের এই তথ্য থেকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। সেটা হলো নির্ভরতা। শিশু ও বয়স্করাই মূলত সক্ষম ও পূর্ণবয়স্কদের ওপর নির্ভরশীল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০১১ সালের  আদমশুমারির তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, অভিভাবকদের ওপর নির্ভরশীল শিশু-কিশোরের সংখ্যা কমছে। কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রতি ১০০০ জনের ক্ষেত্রে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত নির্ভরশীলের অনুপাত প্রতি হাজারে ৫১০। ২০০১ সালে এ সংখ্যা ছিল প্রতি হাজারে ৬২১।

এ সব তথ্য থেকে স্পষ্ট, প্রত্যেক পরিবারে শিশুসংখ্যা কমেছে। অর্থাৎ জন্মহার নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের প্রভাব এক্ষেত্রে পড়েছে বলে প্রতীয়মান। অন্যদিকে বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এই নির্ভরতা ২০০১ সালে ১৩১ থেকে বেড়ে ২০১১ সালে  হয়েছে ১৪২।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মুসলমানদের অকাল মৃত্যুর হারও বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।