ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

চেঙ্গিস খানের দেশ মঙ্গোলিয়ায় অনূদিত কোরআন বিতরণ

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
চেঙ্গিস খানের দেশ মঙ্গোলিয়ায় অনূদিত কোরআন বিতরণ ছবি: সংগৃহীত

চেঙ্গিস খানের জন্য মঙ্গোলিয়া না মঙ্গোলিয়ার জন্য চেঙ্গিস খান বিখ্যাত- এ নিয়ে বিতর্কের কোনো সুযোগ নেই। নৃশংসতার জন্য ইতিহাসে চেঙ্গিস খান সমালোচিত হলেও মঙ্গোলিয়দের কাছে তিনি একজন ‘গ্রেট হিরো।

’ তার কারণেই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছে মঙ্গোলিয়া।

মঙ্গোলিয়া মধ্য এশিয়ার একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। উত্তরজুড়ে রাশিয়া, পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিমে চীন ও কাজাখিস্তান। ৬ লাখ ৯ হাজার ৯ স্কয়ার মাইল এলাকা নিয়ে দেশটি গঠিত। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দেশগুলোর মধ্যে ১৯তম স্থানে মঙ্গোলিয়া। এই বিশাল দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ লাখ।

দেশটির ৬৩ শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী, ১৩ শতাংশ মুসলিম ও ৭ শতাংশ শামান। শামানরা আকাশকে ধর্ম মানে। তারা বিশ্বাস করে আকাশই তাদের দাতা।

মঙ্গোলিয়ার রাজধানীর নাম উলানবাটোর। সেলেঙ্গে নদী মঙ্গোলিয়ার প্রধান নদী। ইসমেহান সুলতান মসজিদ মঙ্গোলিয়ার অন্যতম প্রাচীনতম মসজিদ। মসজিদটি মঙ্গোলিয়ায় কন্সট্যানটা কাউন্টিতে অবস্থিত। তুর্কি ও তাতারদের প্রচেষ্টায় মসজিদটি ১৫৭৫ সালে নির্মাণ করা হয়।

সেই মঙ্গোলিয়ায় সম্প্রতি পবিত্র কোরআনের অনূদিত চার হাজার কপি বিতরণ করা হয়েছে। তুরস্কের ধর্মীয় ওয়াকফ সংস্থার ‘কোরআন আমার উপহার’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনে রাজধানী উলানবাটরে মঙ্গোলিয়ার ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কাজাখ ভাষায় অনূদিত এসব কোরআন বিতরণ করা হয়।

স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজের পর, মুসলিমদের বাড়িতে ও দোকানে যেয়ে যেয়ে কোরআনগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গোলিয়ায় ধর্ম বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুর রহমান চ্যাটিন এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গোলিয়ায় বসবাসকৃত সংখ্যালঘু কাজাখ মুসলমানদের মধ্যে কাজাখ ভাষায় অনূদিত কোরআন ও তাফসিরের প্রয়োজন রয়েছে। এ প্রয়োজন মেটাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হলো।

উলানবাটের ধর্মীয় সংস্থার নেতা মসজিদ আর রাহমানের পেশ ইমাম মোল্লা খলিল টুটুল বলেন, গত বছরের প্রথম দিকে আরবি থেকে মঙ্গোলিয় ভাষায় পবিত্র কোরআন অনুবাদের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রায় ১৫ পারা পর্যন্ত অনুবাদ শেষও হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী বছরের মধ্যে মঙ্গোলিয় ভাষায় কোরআন অনুবাদের কাজ সম্পন্ন হবে। তখন আর ভিন্ন ভাষায় পড়ে কোরআনের অর্থ অনুধাবন করতে হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।