ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

পবিত্র কাবার চাবি

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
পবিত্র কাবার চাবি ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবাকে বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হয়। কাবাঘরের সেবা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

ফলে সমকালীন শাসকরা এর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কাজ করেছেন। এর অংশ হিসেবেই কাবাঘরের দরজা তৈরি করা হয়েছে স্বর্ণ দিয়ে।

১৩৯৬ হিজরি সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ খালেদ ২৮৬ কেজি স্বর্ণ দিয়ে বর্তমান দরজাটি তৈরি করেছেন। দরজায় আল্লাহতায়ালার নাম এবং কোরআনের আয়াত লেখা রয়েছে। কাবা শরিফের দরজাটি দুই পাল্লার। মাঝে আছে তালা লাগানোর ব্যবস্থা।

কাবাঘরের দরজার তালার চাবি বনু তালহা গোত্রের কাছে সংরক্ষিত থাকে। পূর্ব থেকেই এ রীতি চলে আসছে। মক্কা বিজয়ের পর অনেক কিছুতে পরিবর্তন হলেও মহানবী (সা.) এই গোত্রের হাতেই কাবাঘরের চাবিটি রেখে দেন। ফলে তারাই কাবাঘরের আনুষ্ঠানিক সেবক। মক্কা বিজয়ের দিন নবী করিম (সা.) তাদের কাছ থেকে চাবি নিয়ে কাবাঘরকে পবিত্র করেন। পরে আবার তাদের হাতেই চাবি ফিরিয়ে দেন।

চাবি ফেরত দেওয়ার সময় নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে বনি আবদুদ দুর! কিয়ামত পর্যন্ত চিরদিনের জন্য এই চাবি গ্রহণ করো। জালেম ছাড়া কেউ তোমাদের কাছ থেকে এই চাবি ছিনিয়ে নেবে না। ’


বনু তালহা গোত্রের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি কাবার চাবি বহন করেন। চাবিটি বিশেষ ব্যাগে রাখা হয়। এই ব্যাগটি পবিত্র কাবার গিলাফ তৈরির কারখানায় বানানো। এখন পর্যন্ত কাবার চাবি কখনও হারায়নি। তবে বহু বছর পূর্বে এক ব্যক্তি চাবি চুরির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সে সফল হয়নি।

প্রথম আমলের তালা যেমন এখন আর নেই, চাবিও নেই। তবে সেই পুরনো যুগের চাবিগুলো অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়। কাবার বর্তমান চাবিটি ৩৫ সেন্টিমিটার।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কাবা শরিফে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৮টি তালা ব্যবহার করা হয়েছে। এ সব তালা ও চাবি বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত অাছে।


তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ঐতিহাসিক তোপকাপি প্রাসাদ জাদুঘরেই রয়েছে ৫৪টি চাবি। এ ছাড়া প্যারিসের বিশ্বখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামেও পবিত্র কাবার ২টি চাবি রয়েছে। আরেকটি চাবি সংরক্ষিত আছে কায়রোতে অবস্থিত ইসলামিক আর্ট মিউজিয়ামে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।