শখ মানুষের চিত্ত বিনোদনের অন্যতম উপাদান। মানুষ তার পেশার বাইরে যে কাজ করে আনন্দ লাভ করে সেটাই শখ।
কোরআনে কারিমকে ‘নতুনভাবে’ লিখে ইতিহাস গড়লেন তিনি। ফলে তিনি এখন খবরের শিরোনামে। ১৬৪ ফুটের (১১.৪ ফুট বাই ১৩ ফুট) স্বচ্ছ কালো সিল্কের ওপর সোনা এবং রুপা দিয়ে কোরআন লিখেছেন তিনি। কাজটি শেষ করতে তার লেগেছে প্রায় তিন বছর।
সিল্কের ওপর সোনার হরফে কোরআন এবারই প্রথম লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেমেদজাদে। প্রত্যেকটি হরফ নিজের হাতে লিখেছেন ৩৩ বছরের এই শিল্পী। কোরআনের প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে উৎকর্ষ ইসলামি ঐতিহ্য ও শিল্পকলা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ারস, দিয়ানেট থেকে প্রকাশ পেয়েছে এই কোরআনের প্রথম সংস্করণ। মেমেদজাদে জানান, ‘সিল্ক দিয়ে তৈরি কোরআন কোনো ধর্মীয় আঘাত আনেনি। কোরআনেই সিল্কের কথা উল্লেখ রয়েছে। ’
বাণিজ্যিকভাবে কাজটি করেননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তুনজালে। মূলত এজন্য তার কী পরিমাণ খরচ হয়েছে সেটাও তিনি জানাতে ইচ্ছুক নন।
বস্তুত কোরআনে কারিম বিশ্বের বিস্ময়কর একটি গ্রন্থ। বিশ্বজনীন এ গ্রন্থের আবেদন ও উপযোগিতা সব যুগে এবং সব স্থানেই কার্যকর রয়েছে। কুদরতি নিয়মে হাজার বছর ধরে অত্যন্ত বিস্ময়কর প্রক্রিয়ায় এ গ্রন্থকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লিখে রাখার পাশাপাশি হাজার বছর ধরে হৃদয় থেকে হৃদয়ে একে ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআনের অসংখ্য হাফেজ রয়েছেন। মানব ইতিহাসে আর কোনো গ্রন্থের এত হাফেজ নেই।
এ সবই কোরআনের বিস্ময়। আজারবাইজানের চিত্রশিল্পী তুনজালে মেমেদজাদের কাজটিও ঠিক তেমনি ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬
এমএইউ/