ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

লাখো মানুষের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামের গাউছুল আজম কনফারেন্স সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
লাখো মানুষের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামের গাউছুল আজম কনফারেন্স সম্পন্ন চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে গাউছুল আজম কনফারেন্সে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর

পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো, বিপথগামীদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান নয়; বরং পরম স্নেহ-মমতায় তাদেরকে কাছে টানতে হবে। সেই সঙ্গে গাউছুল আজম (রহ.)-এর আদর্শ অনুসরণ করলে জীবন সততা, সৎচিন্তা-চেতনা ও সাফল্যে ভরে ওঠবে। যার ফলে উপকৃত হবে পরিবার থেকে শুরু করে গোটা সমাজ।

পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করো, বিপথগামীদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান নয়; বরং পরম স্নেহ-মমতায় তাদেরকে কাছে টানতে হবে। সেই সঙ্গে গাউছুল আজম (রহ.)-এর আদর্শ ও দর্শন অনুসরণ করলে জীবন সততা, সৎচিন্তা-চেতনা ও সাফল্যে ভরে ওঠবে।

যার ফলে উপকৃত হবে পরিবার থেকে শুরু করে গোটা সমাজ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম লালদিঘী ময়দানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে অায়োজিত ঐতিহাসিক গাউছুল আজম কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী এ সব কথা বলেন।  

কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের উদ্যোগে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ গাউছুল আজম কনফারেন্সের আয়োজন করে।  

কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী আরও বলেন, হজরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রহ.) ছিলেন ইসলামি দার্শনিক। মুসলিম যুব সম্প্রদায়কে তিনি তার নিজস্ব দর্শন, কর্মপন্থা ও বাস্তব তৎপরতা দিয়ে দ্বীনের পথ দেখিয়েছেন।  

উপস্থিত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ইসলামের খেদমতে ও শিক্ষার প্রসারে গাউছুল আজম (রহ.) নির্মাণ করেছেন দেশ-বিদেশে বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও পাঠাগার। শেষ জীবনে এসে তিনি নিজের সঞ্চিত সব অর্থ কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদ্রাসায় দান করার মধ্যে দিয়ে গভীর রাসূলপ্রেম ও দেশে ইসলামি শিক্ষার প্রচার-প্রসারে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে বিরল।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন-এর সভাপতিত্বে কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন বংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজি, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম তালুকদার ও এলবিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনতাহার উদ্দিন সাকিব।  

কনফারেন্সে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, যুব সমাজকে অশ্লীলতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ থেকে বিমুখ করে ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনতে গাউছুল আজম (রহ.)-এর পথ ধরে অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদীর নেতৃত্বে এ দরবার ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা উচ্চপ্রশংসার দাবী রাখে।

কনফারেন্সে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আবুল মনছুর, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবুল হাসান, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।  

কনফারেন্স আরও বক্তব্য রাখেন, আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইবরাহিম হানফি, আল্লামা মুফতি আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, আল্লামা মোহাম্মদ আশেকুর রহমান, আল্লামা এমদাদুল হক মুনিরি, মাওলানা সেকান্দর আলী ও মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান।  

কনফারেন্সে দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ছাড়াও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা উপস্থিত ছিলেন। অংশ নিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আমেরিকা, নরওয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও ওমানসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরাও।  

কনফারেন্স শেষে বিশেষ মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধান অতিথি দেশ-জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।