ইজতেমা কমিটির সদস্য আবু সাইদ সাদী বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমা ময়দানজুড়ে থাকছে মুসল্লিদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা। খাবার পানি, ওযুখানা, টয়লেট ও নামাজের স্থানসহ পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা।
ইজতেমা আয়োজনের অধিকাংশ কাজ করেছে ৫ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। ইজতেমা সম্পন্ন করার জন্য কারও কাছ থেকে কোন চাঁদা বা সহযোগিতা গ্রহণ করা হয় না বলে জানান তিনি।
এবারের ইজতেমায় ৩০টির বেশি জামাত হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার আয়োজকরা। ইজতেমায় মাগুরাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষাধিক মুসল্লি আসবেন।
তিনি আরো জানান, ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর রাস্তায় বের হয়ে মানুষকে সে রাস্তায় আমন্ত্রণ জানানো। এর মাধ্যমে ধর্মের প্রকৃত বাণী প্রচার করা হয়। কোন প্রকার গোড়ামি বা উগ্রবাদকে বর্জন করাই ইজতেমার মূল বাণী।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায় জানান, মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য ২ স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করা হবে। ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ময়দান ও এর আশপাশ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে।
মাগুরা সিভিল সার্জন এফবিএম আব্দুল লতিফ জানান, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্স ও প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স স্টান্ডবাই রাখা হবে। অন্যদিকে জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৩০টি পানির চাপকলসহ বিশুদ্ধ পানির জন্য একাধিক ট্যাংকির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারি প্রধান জামাতে আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে আঞ্চলিক এ ইস্তেমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
আরএ