ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

দাড়ি, পাগড়ি ও হিজাবের অনুমতি দেওয়া হলো আমেরিকার সেনাবাহিনীতে

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৭
দাড়ি, পাগড়ি ও হিজাবের অনুমতি দেওয়া হলো আমেরিকার সেনাবাহিনীতে এখন থেকে মার্কিন সেনারা পাগড়ি পরতে ও দাড়ি রাখতে পারবেন আর নারীরা পরতে পারবেন হিজাব

আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কী পরিমাণ মুসলমান রয়েছেন সেটি নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। কারণ, ৪ লাখ সৈন্য নিজেদের ধর্ম পরিচয় প্রকাশ করেননি। মাত্র ৬ হাজার নিজেদের মুসলমান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পেন্টাগণ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অনুমান করা হয়, দশ হাজারের বেশি মুসলমান কর্মরত আছেন। এই সংখ্যা যে কোনো অমুসলিম দেশের চেয়ে বেশি।

বহু মুসলিম সৈন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব ক’টি যুদ্ধে আমেরিকার হয়ে প্রাণ দিয়েছেন। প্রমাণ দিয়েছেন দেশপ্রেমের।

এর পর কিছুদিন আগ পর্যন্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীতে দাঁড়ি রাখা কিংবা টুপি ব্যবহারের রেওয়াজ ছিলো না। এমনকি হালাল খাদ্যেরও কোনো নিশ্চয়তা ছিলো না। এবার এর অবসান হলো।  

এখন থেকে মার্কিন সেনারা পাগড়ি পরতে ও দাড়ি রাখতে পারবেন। আর নারীরা পরতে পারবেন হিজাব। এমনই এক নতুন নিয়ম আনতে চলেছে আমেরিকার সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীতে এমন নতুন আইন প্রণয়নের মূলে রয়েছে, মার্কিন সেনাবাহিনীতে যাতে করে বেশি করে সংখ্যালুঘুদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি করা যায়।

দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কর্মরত শিখ সৈন্যরা তাদের ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষিত নয়- বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সব ধর্মের অনুসারীদের সমান অধিকার রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মার্কিন সেনাবাহিনীর সচিব এরিক ফ্ল্যানিং।  

এরিক বলেন, বাকি নাগরিকদের মতো শিখরাও আমেরিকার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ, দেশের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই তাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি দেশের হয়ে কাজ করতে চাই, সেটাকে স্বাগত জানানো হবে। পাশাপাশি, সবার মতোই শিখদের নিজস্ব ধর্ম, সংস্কৃতি ঐতিহ্য নিয়ে বাঁচার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারকে সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, হিজাবও পরতে পারবেন নারীরা।

প্রস্তাবিত নতুন আইনের ফলে শিখ সৈন্যরা যেমন দাড়ি রাখতে, পাগড়ি পরতে ও হিজাব মাথায় দিতে পারবে- তেমনি মুসলিম সেনা সদস্যরাও তাদের ধর্মীয় সুবিধা নিশ্চিত এবং পোষাকাদি ব্যবহারের অনুমতি পাবেন।  
 
মার্কিন সেনাবাহিনীর এমন সিদ্ধান্তে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কর্মরতরা নিজেদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে মাথা উঁচু করে চলতে পারবে তেমনি স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের স্বাদ পাবে।
 
নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে মাত্র ৫ জন ইমাম রয়েছেন।

আর নিউ ইয়র্কের ট্রাফিক পুলিশের চল্লিশ শতাংশ মুসলমান।

-হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।