শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
ইজতেমার মাঠ ও আশেপাশের এলাকায় মুসুল্লিরা বলেছেন, এতো বড় জামায়াতে জুমার নামাজ আদায়ের সুযোগ সহসা মেলে না।
টঙ্গীর তুরাগ পাড়ের ইজতেমাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মৌসুমী ব্যবসাও। কেউ আতর কেউ বা টুপি-জায়নামাজ, কেউবা চাদর নিয়েও বসেছেন। বিক্রিও ভাল হচ্ছে।
এদিকে জুমার দিন হওয়ায় টঙ্গী-উত্তরার সব মসজিদ প্রায় ফাঁকা। মুসুল্লিদের অধিকাংশই তুরাগ পাড়ে সমবেত হয়েছেন। কয়েক লাখ মানুষের নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে।
র্যাব, পুলিশ ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও অবস্থান নিয়েছে। রয়েছে কন্ট্রোল রুম। কোনো ধরণের নাশকতা ঠেকাতে তারা সদা তৎপর। সাইরেন বাজিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই চলছে টহল ভ্যান।
এদিকে মানুষের আগমন উপলক্ষ্যে টঙ্গীর আশেপাশে কিছুটা জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে না।
তুরাগপাড়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় অনেক জেলায় ইজতেমার আয়োজন হয়েছে। তবে এরপরও এ আয়োজনের মাহাত্ম্যের কথা ভেবে সে নির্দেশনা পাশ কাটিয়ে মুসুল্লিরা এখানে চলে এসেছেন। তাদের মতে, জেলার আয়োজন ছোট আর তুরাগ পাড়ের জামায়াত বিশাল। তাই এখানেই আসা।
কুমিল্লা থেকে ছেলেকে নিয়ে ইজতেমায় এসেছেন ইছহাক আলী। প্রবীণ এ মুসুল্লি বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় প্রতিবারই বিশ্ব ইজতেমায় আসেন। তাই এবারও এসেছেন। আর সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে এসেছেন ইজতেমার বিশালতা, ধর্মীয় মাহাত্ম বোঝাতে।
ছেলে ইসমাইলও খুশি। তিনি বলেন, মাদ্রাসায় পড়লেও আগে কখনো এতো বড় জামায়াত দেখিনি। খুব ভাল লাগছে।
কিশোরগঞ্জ থেকে এসেছেন হাশেম আলী। বাংলানিউজকে বলেন, তুরাগ পাড়ের ইজতেমার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা চলে না। আর মন থেকে শান্তিও পাই না। তাই প্রতিবারই আসা হয়।
** আম বয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৭
ইইউডি/বিএস